উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্ক: ত্রিপুরায় পৌঁছলেন তৃণমূল কংগ্রেসের (TMC) ৬ সদস্যের প্রতিনিধি দল। আগরতলা পৌঁছতেই বিমানবন্দরের বাইরে ধর্নায় বসলেন কুণাল (Kunal Ghosh), সায়নী, বীরবাহা সহ বাকি সদস্যরা। বুধবার দুপুরে তৃণমূল কংগ্রেসের সদস্যরা ত্রিপুরায় পা রাখতেই পুলিশি বাধার মুখে পড়েন বলে অভিযোগ! পুলিশের সঙ্গে তর্কাতর্কিতে জড়ান প্রতিনিধি দলের সদস্যরা। অটো বা প্রিপেড ট্যাক্সিও বুক করতে দেওয়া হচ্ছে না বলে অভিযোগ করেন কুণাল। আইনশৃঙ্খলার অবনতি হতে পারে এই অভিযোগে তাঁদের বিমানবন্দর চত্বর ছাড়তে বাধা দেওয়া হচ্ছে। অগত্যা বাধ্য হয়েই কুণাল ঘোষ, সায়নী ঘোষ, প্রতিমা মণ্ডল, সুদীপ রাহা, সুস্মিতা দেব, বীরবাহা হাঁসদা বিমানবন্দরে ধর্নায় বসেন।
বীরবাহা বলেন, ‘নিজেদের টাকা খরচ করে গাড়ি নিয়ে ঘটনাস্থলে যাব, তাও এরা করতে দিচ্ছে না। এরপর বিজেপির নেতারা পশ্চিমবঙ্গে গিয়ে বড় বড় কথা বলবে। এর থেকে লজ্জার আর কী হতে পারে? আরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের থেকে শিখুন সব ধর্মের, সব রাজনৈতিক দলের মানুষকে কীভাবে আপ্যায়ন করতে হয়।’
বীরবাহার সঙ্গে একই সুরে মিলিয়ে যাদবপুরের সাংসদ সায়নী ঘোষ বলেন, এ তো ত্রিপুরা সরকারের লজ্জা। পশ্চিমবঙ্গে ৩৬৫ দিন প্রতিনিধি দল পাঠান আর আমাদের পার্টি অফিস ভাঙ্গা হয়েছে বলে আমরা এসেছি, তাতেও এই অবস্থা? আপনাদের কিসের ভয়? মাত্র ৬ জনকে তাঁদের পার্টি অফিস পর্যন্ত যেতে দিচ্ছেন না? এখানেই বোঝা যায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতাপ কতটা? ডাবল ইঞ্জিন সরকারের ব্যর্থতা।’
গতকাল আগরতলায় তৃণমূল কংগ্রেসের অফিস ভাঙওফিস্র ঘটনায় ক্ষিপ্ত রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস। এদিন সকালে পূর্ব নির্ধারিত কর্মসূচি অনুয়ায়ী ত্রিপুরা পৌঁছন কুণাল ঘোষ, সাংসদ প্রতিমা মণ্ডল, সুস্মিতা দেব, বীরবাহা হাঁসদা, সুদীপ রাহা, সায়নী ঘোষ। অভিযোগ, ত্রিপুরা বিমানবন্দর থেকে পার্টি অফিসে যাওয়ার জন্য তাঁদের জন্য চারটি গাড়ি থাকার কথা ছিল। কিন্তু তাঁরা পৌঁছে জানতে পারেন, একটি মাত্র গাড়ি রয়েছে। এদিকে পুলিশের তরফে নির্দেশ দেওয়া হয় যে একবারেই সকলকে যেতে হবে। স্বাভাবিকভাবেই তা অসম্ভব। কুণাল ঘোষ এগিয়ে গিয়ে পুলিশের সঙ্গে কথা বলেন। কিন্তু তাতে সুরাহা হয়নি। এরপর বিমানবন্দরের বাইরে থাকা প্রিপেড ট্যাক্সিতে যাওয়ার পরিকল্পনা করেন। অভিযোগ, তৃণমূল নেতা হওয়ায় তাঁদের প্রিপেড ট্যাক্সিও বুক করতে দেওয়া হয়নি। এমনকী মিলছে না অটোও।
বিস্তারিত আসছে…………………

