কোচবিহার: চারদিকে রকমারি অত্যাধুনিক ঝুলন্ত কাচ ও ধাতুর মধ্যে বিভিন্ন রংয়ের আলোর রোশনাই ফুটে উঠবে। আর ওপরে কালো আকাশের মধ্যে চারদিকে তারার মতো জোনাকির আলো ঝিকমিক করবে। যা দেখে মোহিত হয়ে পড়বে দর্শক। কোচবিহার শহরের গুঞ্জবাড়ি এলাকায় তোর্ষা নদীর বাঁধের ধারে শান্তিকুটির ক্লাব ও ব্যায়ামাগারের ৬১তম দুর্গাপুজোর মণ্ডপকে এবার এমনইভাবে সাজিয়ে তোলা হবে। পুজোর থিম জ্যোতির্ময়ী। এরজন্য মেদিনীপুর থেকে আসা প্রায় ২০ জন শিল্পী গত দেড় মাস ধরে বাঁশ, কাঠ, প্লাইবোর্ড, বিভিন্ন লোহা ও মেটালের ফ্রেম দিয়ে মণ্ডপকে সাজিয়ে তুলতে অক্লান্ত পরিশ্রম করে চলেছেন। মণ্ডপের সামনে লোহা দিয়ে তৈরি নজরকাড়া গাছ থাকবে। তাতে রংবেরঙের আলো সাজানো থাকবে। ক্লাব কর্তৃপক্ষের আশা অন্যবারের মতো এবারও পুজোর ছয়-সাতদিন তাদের মণ্ডপে দর্শনার্থীদের ভিড় উপচে পড়বে। এবারের তাদের পুজোর বাজেট ২৫ লক্ষ টাকা।
মণ্ডপ তৈরি প্রসঙ্গে মেদিনীপুর থেকে আসা শিল্পী জয়ন্ত সামন্ত বলেন, ‘বিভিন্ন লাইট, কাচ, প্লাইবোর্ড সহ নানা কিছু দিয়ে মণ্ডপটা সুন্দরভাবে আমরা তৈরি করছি। আশা করছি দর্শকরা দেখে মুগ্ধ হবেন।’
কোচবিহার জেলার বিশেষ করে কোচবিহার শহরের বড় দুর্গাপুজোগুলোর মধ্যে শান্তিকুটির ক্লাবের দুর্গাপুজো বরাবরই অন্যতম। এবারও তারা জ্যোতির্ময়ী থিম করে নজরকাড়া মণ্ডপ তৈরি করছেন। তবে শুধু মণ্ডপসজ্জাই নয়। মণ্ডপের পাশাপাশি থাকছে অত্যাধুনিক আলোকসজ্জা। উচ্চবালিকা স্কুলের মাঠে তৈরি হওয়া মণ্ডপ থেকে গুঞ্জবাড়ি বড় রাস্তা পর্যন্ত থাকবে অত্যাধুনিক আলোর মালার একাধিক বড় গেট। এছাড়াও মণ্ডপের সঙ্গে মিল রেখে তৈরি করা হচ্ছে প্রতিমা। প্রতিমা তৈরি করছেন কোচবিহারের বিশিষ্ট শিল্পী ভাসান পাল।
ক্লাবের যুগ্ম সম্পাদক শ্যামলেন্দু রায় বলেন, ‘আমাদের পুজো এবার ৬১ বছরে পা রাখল। আমাদের এবারের থিমের নাম জ্যোতির্ময়ী। আশা করছি দর্শকদের তা খুবই ভালো লাগবে। তৃতীয়ার দিন আমাদের পুজোর উদ্বোধন হবে।’ ক্লাবের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, পুজোর পাশাপাশি পুজো কমিটির তরফে দরিদ্রনারায়ণ সেবা, বস্ত্র বিতরণ সহ বিভিন্ন কর্মসূচি করা হবে।

