উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্ক: একটি নির্দিষ্ট সময়কাল নিয়েই বোধহয় সবাই আসে এই ধরাধামে। ছেড়ে যাওয়ার সময় এলে যেমন আটকানোর উপায় নেই, আবার সময়ের আগে কাউকে নিয়ে যায় এমন সাধ্যই বা কার? এই প্রতিবেদনের মূল চরিত্র এক সেনা জওয়ান, তাঁরও জীবনের সময় বোধহয় ফুরোয়নি। ভারত-চিন সীমান্তে টহলদারি করার সময় হঠাৎই ওই সেনা জওয়ান চাপা পড়েন বরফের নীচে । তিনদিন বরফের নীচে জীবন্ত সমাধিতে থাকার পর জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করা হল তাঁকে । ৩৬ ঘণ্টার রুদ্ধশ্বাস এক উদ্ধার অভিযানের পর বরফে চাপা পড়া একটি গুহা থেকে উদ্ধার করা হয় ওই জওয়ান এবং তাঁর মালবাহককে। উদ্ধারের পর দু’জনকেই সেনা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
উত্তরাখন্ডের মুন্সিয়ারির ভারত-চিন সীমান্ত এলাকায় ঘটনাটি ঘটছে। অনিল রাম নামক ইন্দো-তিব্বত সীমান্ত পুলিশের ওই জওয়ান বিহারের বক্সারের বাসিন্দা। মুন্সিয়ারি থেকে মিলাম এলাকার টহল দেওয়ার সময় অনিল এবং তাঁর মালবাহক দেবেন্দ্র সিং প্রবল তুষারপাতের কারণে পথ হারিয়ে ফেলেন । এরপর প্রাণ বাঁচাতে মুনসিয়ারি থেকে ৮৪ কিলোমিটার দূরের এক গুহায় আশ্রয় নেয় তাঁরা।
কিন্তু প্রবল তুষারপাতের কারণে গুহার মুখ বন্ধ হয়ে যায়। মোটা বরফের দেওয়ালের নীচে আটকে পড়েন তাঁরা। ইতিমধ্যেই নিখোঁজ ওই জওয়ানের খোঁজে বেরিয়ে পড়ে একটি উদ্ধারকারী দল। ৩৬ ঘণ্টার নিরলস উদ্ধার অভিযান চালানোর পর খোঁজ মেলে ওই গুহার। প্রায় চারফুট চওড়া বরফের দেওয়াল ভেঙে উদ্ধার করা হয় অনিল এবং দেবেন্দ্রকে। অসুস্থ ওই জওয়ান এবং তাঁর মালবাহককে এরপর ভর্তি করা হয় উত্তরাখন্ডের এক সেনা হাসপাতালে।
স্বাভাবিকভাবেই অনিলের উদ্ধারের খবর পেয়ে নিশ্চিন্ত হয়েছে তাঁর পরিবার। অনিলের ভাই গান্ধি কুমার জানান, অনিল এই মুহূর্তে চিকিৎসাধীন রয়েছে এবং খুব তাড়াতাড়ি বাড়ি ফিরে আসবে।
ঘটনা প্রসঙ্গে সাব ডিভিশনাল ম্যজিস্ট্রেট শ্রেষ্ঠ গুনশোলা জানান, অনিল এবং দেবেন্দ্র দু’জনেই সুস্থ রয়েছে। প্রতিকূল পরিস্থিতির মধ্যেও এমন রুদ্ধশ্বাস উদ্ধারকাজের জন্য রেসকিউ টিমকে অভিনন্দন জানান তিনি।