অর্ঘ্য বিশ্বাস, ময়নাগুড়ি: হোলির আগেই নিরাপত্তার চাদরে মুড়ে ফেলা হচ্ছে উত্তরের বিস্তীর্ণ বনাঞ্চলকে (Forests of North Bengal)। বন দপ্তরের তরফে ইতিমধ্যে শুরু হয়েছে নজরদারি। তবে আগামী কয়েকদিনের মধ্যেই হোলির জন্য স্পেশাল অ্যান্টি পোচিং ডিউটি (Anti Poaching Operation) শুরু করা হচ্ছে বন দপ্তরের তরফে।
উত্তরবঙ্গের বন্যপ্রাণী বিভাগের মুখ্য বনপাল ভাস্কর জেভি বলেন, ‘বন্যপ্রাণীর সুরক্ষার জন্য উত্তরের সমস্ত জঙ্গলে টহলদারি আরও বাড়ানো হচ্ছে। বন দপ্তরের কুনকি হাতি ছাড়াও, সাহায্য নেওয়া হবে ড্রোন ক্যামেরার। হেঁটে এবং উঁচু নজরমিনার থেকেও নজরদারি চালাবেন বনকর্মীরা।’
বহু বছরের রীতি মেনে হোলির আগে এক শ্রেণির মানুষ জঙ্গলে ঢোকে বন্যপ্রাণী শিকারের উদ্দেশ্যে। এখনও সেই রীতি অটুট রয়েছে। তাই জঙ্গলগুলোতে এধরনের ঘটনা রুখতে এই বছরও একাধিক উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বন দপ্তরের তরফে। জলপাইগুড়ি জেলার বিভিন্ন বনাঞ্চলজুড়েই বাড়ানো হচ্ছে নিরাপত্তা। জলপাইগুড়ি বন বিভাগ এবং গরুমারা বন্যপ্রাণী বিভাগের বনকর্মীরা যৌথভাবে বিভিন্ন জায়গায় নজরদারি শুরু করেছেন, সাহায্য নেওয়া হচ্ছে পুলিশেরও। স্থানীয় যৌথ বন পরিচালন কমিটির সদস্যদের পাশাপাশি বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার সদস্যরাও শামিল হবেন এই কর্মসূচিতে।
গরুমারা বন্যপ্রাণী বিভাগের কুনকি হাতি নিয়ে ইতিমধ্যে টহলদারি চলছে জঙ্গল সহ পার্শ্ববর্তী এলাকায়। পাশাপাশি নদী ঘেঁষা চর এলাকায় হেঁটে বনকর্মীরা বিভিন্ন এলাকায় টহলদারি করবেন। গত বছর নাথুয়া রেঞ্জের বনাঞ্চল সংলগ্ন ময়নাগুড়ি ব্লকের জলঢাকা নদীর চরে জোড়া সম্বরের ক্ষতবিক্ষত দেহ উদ্ধারের পর নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল। নদী সংলগ্ন ওই এলাকায় নজরদারির অভাব নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন পরিবেশপ্রেমীরা। তাই নদী সংলগ্ন ওই এলাকায় এবার নজরদারি আরও বাড়ানো হয়েছে বলে বন দপ্তরের তরফে জানানো হয়েছে। নদীর চর সংলগ্ন ঘাসবনের পথকে কাজে লাগিয়ে কেউ যাতে শিকার না করতে পারে সেজন্য বন দপ্তরের তরফে খামতি রাখা হচ্ছে না। যদিও কয়েক বছর আগে গরুমারা বন্যপ্রাণী বিভাগের সাউথ রেঞ্জের বনকর্মীরা জলঢাকার চর এলাকার ঘাসবন থেকে শিকারে আসা একটি বড় দলকে আটক করতে সফল হয়েছিলেন। নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে নদীর চর এলাকায় এবার ড্রোন ক্যামেরা ব্যবহার করা হচ্ছে।
নিরাপত্তা বাড়ানো হচ্ছে জলঢাকা, মূর্তি, ডায়না নদী সংলগ্ন বিস্তৃত গরুমারা সহ পার্শ্ববর্তী নাথুয়া রেঞ্জের জঙ্গল এবং ঘাসজমিগুলোতে। গরুমারা বন্যপ্রাণী বিভাগের কুনকি হাতির পাশাপাশি জলপাইগুড়ি বন বিভাগের আওতাধীন নাথুয়া রেঞ্জের কুনকি হাতিকেও নজরদারির কাজে লাগানো হয়েছে। জঙ্গলের করিডরগুলো চিহ্নিত করে বিশেষ নজরদারি শুরু হয়েছে বলে খবর। বনকর্মীরা সাধারণ মানুষকে সচেতন করবেন যাতে কেউ শিকার করতে জঙ্গলে না ঢোকে। আগামী কয়েকদিন সচেতনতা প্রচারে মাইকিং এবং হ্যান্ডবিল বিলি করা হবে চা বাগান সহ জঙ্গল ঘেঁষা বনবস্তিতে। পাশাপাশি জঙ্গল সহ পার্শ্ববর্তী বেশ কিছু এলাকাকে চিহ্নিত করে নাকা চেকিং করা হবে। এক্ষেত্রে স্নিফার ডগকেও কাজে লাগানো হবে।
ডুয়ার্সের এক পরিবেশবিদ মানবেন্দ্র দে সরকার বলেন, ‘শিকার রুখতে বন দপ্তরের এই উদ্যোগ যুক্তিসাপেক্ষ। শিকারের প্রবণতা আটকাতে আমরাও সহযোগিতা করব।’
ডালখোলা: চলন্ত ট্রেনে মোবাইল ছিনাতাইয়ের (Mobile snatching) ঘটনার কয়েক ঘন্টার মধ্যে বমাল দুই দুষ্কৃতীকে গ্রেপ্তার…
উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্ক: ভোট চলাকালীনই মৃত্যু হল এক সিআরএফ জাওয়ানের (CRPF jawan)। বীরভূমের (Birbhum)…
উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্ক: রাজ্যের শাসকদলের প্রায় সব অনুষ্ঠানেই উজ্জ্বল উপস্থিতি লক্ষ্য করা গিয়েছে টলিউড…
নাগরাকাটা: হাতির হামলায় (Elephant attack) ক্ষতিগ্রস্থ হলো সুলকাপাড়া (Sulkapara) গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত খাসবস্তি নেপালী প্রাথমিক…
উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্ক: অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে (Arvind Kejriwal) দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী (Delhi CM) পদ থেকে অপসারন…
This website uses cookies.