উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্কঃ গোরুপাচার মামলায় গ্রেপ্তার অনুব্রত মণ্ডল ও তাঁর পরিবারের নামে-বেনামে থাকা ২৫ টি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট নিজেদের হেপাজতে নিল ইডি। অ্যাকাউন্টগুলি নিজেদের হেপাজতে নিতে গত ৩ মে আদালতে আবেদন করেছিল ইডি। বুধবার তাতে আইনি সম্মতি মিলেছে। ইডির এই পদক্ষেপকে চ্যালেঞ্জ করে আদালতে যেতে পারেন অনুব্রত। সে ক্ষেত্রে তাঁকে ৪৫ দিনের মধ্যে আবেদন করতে হবে। শুধু কেষ্টই নয়, তাদের হিসাবরক্ষক মণীশ কোঠারির মোট ২৬ লক্ষ টাকার সম্পত্তিও এদিন ইডির হেফাজতে চলে গেল।
গোরুপাচার মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে অনুব্রত মণ্ডল এবং তাঁর কন্যা সুকন্যা এই মুহূর্তে রয়েছেন দিল্লির তিহাড় জেলে। এই মামলায় একই জেলে রয়েছেন, বিএসএফ কমান্ড্যান্ট সতীশ কুমার, এনামুল হক, কেষ্টর প্রাক্তন দেহরক্ষী সহগল হোসেনও। গত ১১ মে আসানসোলের বিশেষ সিবিআই আদালতে ভোলে ব্যোম চালকলের দু’টি অ্যাকাউন্ট খুলে দেওয়ার আবেদনও করেছিলেন অনুব্রত। যদিও সেই আবেদনে সাড়া দেয়নি দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ আদালত। উল্টে এবার অনুব্রত মণ্ডল ও তাঁর পরিবারের নামে-বেনামে থাকা ২৫ টি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট নিজেদের হেফাজতে নিল ইডি।
ইডি সূত্রে জানা গিয়েছে, এই ব্যাংক অ্যাকাউন্টগুলি নিজেদের হেপাজতে নিয়েছে। আজই ইডির আবেদনে সিলমোহর দিয়েছে আদালত। এই আইনি সম্মতি মেলার ফলে মোট ১১ কোটি ২৬ লক্ষ টাকার সম্পত্তি ইডির হেপাজতে গেল। এর মধ্যে ২৫টি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ছাড়াও রয়েছে অনুব্রতর স্ত্রী এবং মেয়ের নামে থাকা বেশ কয়েকটি জমি, চালকলও। বোলপুরের নিচুপট্টি এলাকায় যে দোতলা বাড়িতে অনুব্রত থাকতেন সেটা পৈতৃক সম্পত্তি। ফলে তা ইডির হেফাজতে নেই। কেষ্ট এবং তাঁর পরিবারের চ্যাটার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট মণীশ কোঠারির মোট ২৬ লক্ষ টাকার সম্পত্তিও ইডির দখলে চলে গেল।
ইডির আইনজীবীদের মতে, অভিযুক্তের অ্যাকাউন্ট বাজেয়াপ্ত করার কারণ, যাতে তা হস্তান্তর না করা যায়। সেই সম্পত্তি থেকে অভিযুক্ত কোনও আর্থিক লাভ না পায়। কারণ অভিযুক্ত যতক্ষণ না পর্যন্ত আদালতে দোষী প্রমাণিত হচ্ছেন তত দিন সেই সম্পত্তি সরকার নিতে পারে না। এ ক্ষেত্রেও অনুব্রত এবং মণীশের ব্যাঙ্কে গচ্ছিত টাকার সুদ থেকে শুরু করে সম্পত্তির লভ্যাংশ অনুব্রত বা তাঁর পরিবারের কেউ পাবেন না।