উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্ক: কঙ্কালীতলায় (Kankalitala) পুজো দিতে গিয়ে হাপুস নয়নে কাঁদলেন বীরভূমের দাপুটে তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal)। রবিবার মেয়ে সুকন্যা মণ্ডলকে নিয়ে শক্তিপীঠে যান তিনি। প্রার্থনা করার সময় কেঁদে ভাসালেন কেষ্ট। পুজো দিয়ে বেরিয়ে অনুব্রত জানান, কঙ্কালীতলায় বেশ কিছু কাজ বাকি আছে। দুর্গাপুজোর পরে সেই সব কাজ শুরু হবে। তিনি আরও জানান, কঙ্কালীতলায় মায়ের কাছে মেয়ে সুকন্যা, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্য প্রার্থনা করেছেন।
এদিন অনুব্রত বলেন, ‘মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সমস্ত সতীপীঠকে সাজিয়েছেন। তিনি কঙ্কালীতলাকে ঢেলে সাজিয়েছেন। এমন কোনও পীঠস্থান নেই যেখানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আর্থিক সাহায্য করেননি। তিনি বক্রেশ্বরেও টাকা দিয়েছেন, পাথরচাপড়িতে টাকা দিয়েছেন। কঙ্কালীতলায় কিছু কাজ বাকি আছে, সেটা করে দেব।’ অনুব্রতর কথায়, ‘মায়ের কাছে আসার জন্য ছটফট করছিলাম। আমার বাড়ির কাছে মন্দির। আসব না? আমি বীরভূম জেলার সমস্ত মন্দিরেই যাব। আমার মেয়ে, স্ত্রী, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্য পুজো দিলাম।’
২০২২ সালের ১১ অগাস্ট গোরুপাচার মামলায় (Cow Smuggling Case) বীরভূমের নিচুপট্টি এলাকার বাড়ি থেকে অনুব্রতকে গ্রেপ্তার করেছিল সিবিআই। প্রথমে আসানসোল সংশোধনাগারে তাঁকে রাখা হয়েছিল। পরে তাঁকে তিহাড় জেলে নিয়ে যাওয়া হয়। ২০২৩ সালের ২১ মার্চ থেকে তিহাড়েই বন্দি ছিলেন কেষ্ট। একই মামলায় ওই বছরের নভেম্বর মাসে ইডিও তাঁকে গ্রেপ্তার করে। সম্প্রতি সিবিআই এবং ইডি, দুই মামলাতেই জামিন মঞ্জুর হয় এই দাপুটে তৃণমূল নেতার (Birbhum TMC)। জামিন পেয়ে দিল্লির তিহাড় জেল থেকে বোলপুরের নিচুপট্টির বাড়িতে ফেরেন অনুব্রত। অনুব্রত জানান, তিনি শারীরিকভাবে ভালো নেই। বিশেষ করে পায়ের একটি সমস্যায় ভুগছেন। কয়েকদিনের মধ্যে কলকাতায় যাবেন চিকিৎসা করাতে।