উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্ক: প্রায় পাঁচ মাস জেলবন্দি থাকার পর অবশেষে বুধবার জামিন পেলেন তৃণমূল নেতা আরাবুল ইসলাম (Arabul Islam)। এদিন দুপুর আড়াইটে নাগাদ জেল থেকে ছাড়া পেলেন ভাঙড়ের ‘তাজা নেতা’। জেলের বাইরে দাঁড়িয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (CM Mamata Banerjee) এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভূয়সী প্রশংসা করলেও তাঁর জেলমুক্তির দিনে তাঁকে নিয়ে তৃণমূলের সেভাবে কোনও উচ্ছ্বাস চোখে পড়ল না।
পাঁচ মাস পর মুক্তির স্বাদ পেলেও, আজ যখন আরাবুল বাইরে এলেন দেখা গেল চেহারা ভগ্নপ্রায়। কয়েকজন অনুগামী তাঁকে স্বাগত জানানোর জন্য বাইরেই ছিলেন। তাঁদের দেখে আবেগতাড়িত হয়ে কাঁপা কাঁপা গলায় বলেন, ‘আমি অসুস্থ। সুস্থ হলে ভাঙড়ের মিডিয়াকে ডেকে সব কথা বলব। কেউ ভাঙড় কেড়ে নিতে পারে না। আমি নির্বাচিত প্রতিনিধি।’ পাশাপাশি দলের উচ্চ নেতৃত্বের প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, ‘লোকসভায় যে ফল হয়েছে, তাতে আগামী ২০২৬ সালের বিধানসভা ভোটে আবার রাজ্যে তৃণমূলের ক্ষমতায় আসা নিশ্চিত।’
উল্লেখ্য, তৃণমূল শিবির ২০০৮ সালে ভাঙড় ২ পঞ্চায়েত সমিতিতে বোর্ড গঠন করে। তখন সভাপতি হন আমিনা বেগম বিশ্বাস। আরাবুল ইসলাম তখন বিধায়ক। এরপর বিধায়কের পদ খুইয়ে ২০১৩ সালে ভাঙড় ২ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি হন আরাবুল। পাকাপোক্ত করে নিজের নেমপ্লেট দিয়ে আধুনিক মানের ঘরও তৈরি করা করেছিলেন। সেই ঘর একেবারে অক্ষত ছিল ২০২৪ সালের ৯ জুন পর্যন্ত। তাঁর জামিনের দিন কয়েক আগেই পঞ্চায়েত সমিতির সেই ঘর থেকে খুলে নেওয়া হয়েছে নেমপ্লেট। সহ-সভাপতি সোনালি বাছাড় এখন আরাবুলের চেয়ারে। তারই পাশে বসেন আরাবুল বিরোধী খইরুল ইসলাম। এই খইরুলকে খুন করার ছক কষেছিলেন আরাবুল ইসলাম, যা নিয়ে জনসমক্ষে সরব হয়েছিলেন তৃণমূল নেতা শওকত মোল্লা। আরাবুলকে পদ থেকে সরানো এবং শওকতের বিস্ফোরক মন্তব্যের পর অনেকেই প্রশ্ন তুলেছিলেন ভাঙড়ের রাজনৈতিক রাশ থাকবে শওকত মোল্লার হাতে? এদিনের ঘটনা যেন তারই প্রমাণ।