উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্কঃ ভারতের নীরজ চোপড়াকে পিছনে ফেলে অলিম্পিক রেকর্ড গড়ে জ্যাভলিনে সোনা জিতেছেন পাকিস্তানের আর্শাদ নাদিম। নাদিমের সোনা জয়ে উল্লসিত পাকিস্তান। এই নজিরবিহীন সাফল্যের জন্য আর্শাদ নাদিমকে বিশাল আর্থিক পুরস্কার ঘোষণা করেছে পঞ্জাব প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী মারিয়াম নওয়াজ। পুরস্কার মূল্য পাকিস্তানি মুদ্রায় দশ কোটি টাকা।
জানা গিয়েছে, প্যারিস অলিম্পিকে সোনাজয়ী আর্শাদ চেয়েছিলেন ক্রিকেটার হতে। কিন্তু তাঁদের পারিবারিক অবস্থা ভালো ছিল না। ছিল না ক্রিকেট খেলার সামর্থ। নাদিমের বাবা পেশায় রাজমিস্ত্রি। দৈনিক রোজগার যা হত, তা দিয়েই কোনও রকমে সংসার চলত। তাঁর মতো পরিশ্রম যাতে ছেলেকে করতে না হয়, সেই দিকে নজর দেন নাদিমের বাবা। সাত ভাই-বোনের মধ্যে তৃতীয় নাদিম। অভাবের সংসারে প্রয়োজন অনুযায়ী খাবার জোগাড় করতেই সমস্যা হত। জ্যাভলিন থ্রোয়ে শারীরিক শক্তির উপর অনেক কিছু নির্ভর করে। পুষ্টিকর খাবার দরকার ছিল। বছরে একবারই মাংস জুটত তাঁর। নাদিমের পর্যাপ্ত খাবারের সংস্থান করা সম্ভব ছিল না তাঁর বাবার। ছেলের সোনা জয়ের পরে পুরনো দিনের স্মৃতি রোমন্থন করেছেন আর্শাদ নাদিমের বাবা।
আরও জানা গিয়েছে, নাদিমের একটা জ্যাভলিন কেনারও সামর্থ্য ছিল না। বিপদে পাশে দাঁড়িয়েছিলেন ভারতের নীরজ চোপড়া। আর্থিকভাবে সাহায্যও করেছিলেন নীরজ। নাদিমের বাবা মহম্মদ আর্শাদ বলেন, “গ্রাম্য এলাকায় একটা স্পোর্টস অ্যাকাডেমি তৈরি করার বাসনা রয়েছে নাদিমের।” আর্শাদ নাদিমের ভাই মহম্মদ আজিম বলেছেন, ”পাঞ্জাবের গ্রামীণ এলাকার যুবকরা শারীরিক দিক থেকে দারুণ শক্তিশালী। তাদের ঠিকঠাক গাইডেন্সের দরকার। আশা রাখি ভাইয়ের পারফরম্যান্স পরিস্থিতির পরিবর্তন করবে।”
ভারতের নীরজকে হারিয়ে সোনাজয়ের পর থেকেই নাদিমের বাড়িতে ভীড় জমায় শয়ে শয়ে একটা সোনা জেতার পরে পাকিস্তানের সবাই মনে করছেন, দেশের খেলাধুলোর মানচিত্র বদলাবে।