নতুন দেশ। নতুন পরিবেশ। নতুন স্বপ্ন।
আমেরিকায় কখনও টি২০ বিশ্বকাপ হতে পারে, ভাবিনি। অথচ, এখন সেটাই বাস্তব। ক্রিকেটের বিশ্বায়নের জন্য দারুণ উদ্যোগ আইসিসির।
মার্কিন দেশে বিশ্বকাপ শুরুর সঙ্গেই পিচ নিয়ে ধুন্ধুমার শুরু হয়েছে। বলা হচ্ছে, এমন পিচ কুড়ির ক্রিকেটের জন্য অনুপযুক্ত। ঠিকই। বিশেষ করে কয়েকদিন আগে শেষ হওয়া আইপিএলে আমরা নিয়মিতভাবে ২৫০-২৬০ রান দেখেছি। আর সেই রানকেও নিরাপদ বলে মনে হয়নি। তারপর এমন ভাবনা অস্বাভাবিক নয়। নিউ ইয়র্কের পিচ নিয়ে আরও বেশি সতর্ক হওয়া উচিত ছিল আইসিসির।
কিন্তু তারপরও একটা বিষয় স্পষ্টভাবে বলতে চাই। একজন প্রাক্তন বোলার হিসেবে আমার কাছে এই বিশ্বকাপ এখনও পর্যন্ত বেশ উপভোগ্য হয়েছে। কারণ, টি২০ ক্রিকেট মানেই এতদিন দেখেছি, ব্যাটারদের রাজত্ব। আর বোলারদের দাসত্ব। এমন ভাবনা কিন্তু বদলে গিয়েছে চলতি বিশ্বকাপের আসরে। টস জিতে বিপক্ষকে ব্যাটিং করাও। আর শুরু থেকেই বোলারদের দাপটে অনায়াসে অল্প রানের লক্ষ্য তাড়া করে ম্যাচ জিতে নাও। এমনটাই দস্তুর হয়ে দাঁড়িয়েছে টি২০ বিশ্বকাপের আমেরিকা পর্বে। পরের দিকে পিচের চরিত্র কতটা বদলাবে, বোলারদের সাম্রাজ্য বিস্তার বজায় থাকবে কি না- জানা নেই আমার। কিন্তু এখনও পর্যন্ত যতটা টি২০ বিশ্বকাপ দেখেছি, মনে হয়েছে এবারের বিশ্বকাপ বোলারদেরই হতে চলেছে।
এই বিশ্বকাপ অঘটনেরও। আমেরিকা পাকিস্তানকে হারিয়ে তার প্রমাণও দিয়েছে। বাইশ গজের যুদ্ধে এমন অঘটন আরও ঘটলে আমি অন্তত অবাক হব না। কুড়ি দলের বিশ্বকাপ এই প্রথম হচ্ছে। উগান্ডা, পাপুয়া নিউ গিনি, ওমান, আমেরিকার মতো দলগুলি সম্পর্কে আমাদের অনেকেরই স্পষ্ট ধারণা নেই। অজানা রহস্যে ভরা এই দলগুলি ফের কোনও বড় দলকে হারিয়ে অঘটন ঘটাতেই পারে। রোহিত শর্মার ভারত অবশ্য ফেভারিট হিসেবেই বিশ্বকাপ অভিযান শুরু করেছে। প্রথম ম্যাচেই আয়ারল্যান্ডকে হারিয়েছে। রবিবার পাকিস্তান ম্যাচে রোহিতরা কী করেন, সেদিকে অবশ্যই নজর থাকবে। পিচ নিয়ে আইসিসির প্রতিশ্রুতির পর আশা করব উত্তেজক ম্যাচ হবে। আর হ্যাঁ, ব্যক্তিগতভাবে আমি ভারত বনাম অস্ট্রেলিয়ার বিশ্বকাপ ফাইনাল দেখতে চাই। আহমেদাবাদে শেষ নভেম্বরে একদিনের বিশ্বকাপের ফাইনাল হেরেছিল ভারত। আমি চাই, রোহিতরা টি২০-র ফাইনালে তার বদলা নিক।
যদিও টিম ইন্ডিয়ার কাজটা সহজ নাও হতে পারে। মন্থর, অসমান বাউন্সে ভরা পিচের পাশে অস্ট্রেলিয়া, পাকিস্তান, দক্ষিণ আফ্রিকা, নিউজিল্যান্ড, ইংল্যান্ডের মতো দলের মহড়া নিতেই হবে রোহিতদের। পাশাপাশি ভারতের গ্রুপে থাকা আমেরিকার মতো অখ্যাত দলকেও গুরুত্ব দিয়ে ম্যাচ জয়ের পরিকল্পনা করতে হবে। ভারত-অস্ট্রেলিয়া ছাড়া বিশ্বকাপ সেমিফাইনালে ইংল্যান্ড ও পাকিস্তান যেতে পারে বলে মনে হয়। আমেরিকার বিরুদ্ধে প্রথম ম্যাচে বাবর আজমদের অবাক হারের পরও একথা বলছি। কারণ, পাকিস্তান এমন একটা দল, যাদের নিয়ে পূর্বাভাস করা চিরকালই কঠিন কাজ।
চলতি বিশ্বকাপে টিম ইন্ডিয়ার সম্ভাবনা কতটা? অনেকেই প্রশ্নটা করেছেন আমায়। স্পষ্ট বলছি, রোহিত-বিরাটের ওপেনিং জুটি যদি জমে যায়, তিন নম্বরে ঋষভ যদি দলকে নিয়মিত ভরসা দেয়, আর দলের এক্স ফ্যাক্টর হার্দিক যদি ছন্দে থাকে- তাহলে ভারতকে রোখা মুশকিল হবে। আর সবকিছুর পর বল হাতে জসপ্রীত বুমরাহ তো রয়েইছে বিপক্ষকে ঘায়েল করার জন্য। আবারও বলছি, এই বিশ্বকাপটা বোলারদেরই। বুমরাহ প্রথম ম্যাচের সেরা হয়ে তার প্রমাণ দিয়েইছে। এবার বাকিদের ঘায়েল করে এগিয়ে চলার পালা।
(প্রাক্তন ক্রিকেটার)
গঙ্গারামপুরঃ শহরে বিভিন্ন নামী রেস্তোরাঁ, মিষ্টির দোকান কিংবা বেনামি খাবারের দোকানে বিশেষ অভিযান চালিয়ে চক্ষুচড়কগাছ…
নাগরাকাটাঃ ক্যান্সার আক্রান্ত স্ত্রী কে নিয়ে সহায় সম্বলহীনদের সঙ্গে নিজের ৪০ তম বিবাহবার্ষিকী উদযাপন করলেন…
উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্কঃ উত্তরপ্রদেশের হাথরসের সিকান্দরারাউ এলাকায় চলছিল ‘সৎসঙ্গ’। সেই ধর্মীয় অনুষ্ঠানে পদপিষ্ট (Stampede…
চোপড়া: চোপড়াকাণ্ডের জেরে বিধায়ক হামিদুল রহমানকে ফোন করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন হামিদুল নিজে থেকে…
চোপড়া: যুগলকে নিগ্রহের ঘটনায় তৃণমূল নেতা তাজমুল ওরফে জেসিবি গ্রেপ্তার হলেও এখনও চাপা আতঙ্ক রয়েছে…
রাজগঞ্জঃ গজলডোবায় ভোরের আলো প্রকল্পের পাশে তৃণমূল কাউন্সিলরের কয়েক বিঘা জমি দখলমুক্ত করল প্রশাসন। জমিটি…
This website uses cookies.