সানি সরকার, মিরিক: নেপালের সালাকপুর যতটা কাছে, ঠিক ততটাই যেন দূরে মিরিক লেক (Mirik Lake)। কিন্তু মিরিকে পর্যটনের (Tourism) আকর্ষণ বাড়াতে এবার ভারত-নেপাল সীমান্তে থাকা আসালিয়া জলপ্রপাতই (Asalea Waterfall) ভরসা হয়ে উঠছে। ভারতের পাশাপাশি নেপালের পর্যটকদের টানতে জলপ্রপাতটিকে কেন্দ্র করে খারবানির পরিকাঠামো উন্নয়নে জোর দিল মিরিক (Mirik) পঞ্চায়েত সমিতি। পর্যটকদের কাছে ‘হিডেন ওয়াটারফলস’ হিসেবে পরিচিত আসালিয়াকে কেন্দ্র করে প্যাভিলিয়ন, রাস্তা, গার্ডেন তৈরির কাজ শুরু হয়েছে। এখানকার পর্যটন মরশুম শুরুর আগে সমস্ত কাজ শেষ হয়ে যাবে বলে আশাবাদী পঞ্চায়েত সমিতির স্বাস্থ্য ও পরিবেশ কর্মাধ্যক্ষ আদিত্য প্রধান। তিনি বলছেন, ‘শহরের ওপর চাপ কমাতে লেক নির্ভর মিরিকের পর্যটনকে আমরা ছড়িয়ে দিতে চাইছি। এর জন্য আসালিয়া জলপ্রপাতকে কেন্দ্র করে খারবানির (Kharbani) উন্নয়নে নজর দেওয়া হয়েছে।’ এর ফলে মিরিকে পর্যটকদের সংখ্যা আরও বাড়বে বলে আশাবাদী এখানকার পর্যটন ব্যবসায়ীরা।
বর্ষার শেষপর্যায়ে অনেকেই গাড়ি নিয়ে, কেউ আবার মোটর সাইকেলে পৌঁছে ভিড় জমান মিরিকের খারবানিতে। দুর্গম পাহাড় হওয়ায় অনেকেই আবার ভারতের ফুগুরি হয়ে অথবা নেপালের সমলবাং থেকে ট্রেক করে পৌঁছে যান মেচি এবং সিদ্ধি নদীর মাঝে থাকা সবুজে ঘেরা খারবানিতে। এখান থেকে হাঁটাপথে তাঁদের গন্তব্য হয়ে ওঠে আসালিয়া জলপ্রপাত। মূলত অগাস্ট-সেপ্টেম্বর থেকে এপ্রিল পর্যন্ত চলে এখানকার পর্যটন মরশুম। মূলত জলপ্রপাতটির টানেই পর্যটকরা ভিড় জমান। কিন্তু ঠিকমতো বসার জায়গা বা রাত কাটানোর ব্যবস্থা না থাকায় দিনে দিনে ফিরতে হয় পর্যটকদের। কারও গন্তব্য হয়ে ওঠে মিরিক শহর, কেউ আবার ফিরে যান সালারপুরে। শিলিগুড়ি থেকে যাঁরা যান, তাঁরা ফিরতি পথে বাঁদিকে মিরিক এবং ডানদিকে টিমলিং রোডকে রেখে রাস্তা ধরেন একপ্রকার বাধ্য হয়ে। এই অব্যবস্থা দূর করে খারবানিকে আদর্শ পর্যটনকেন্দ্র হিসেবে গড়ে তুলতে চাইছে মিরিক পঞ্চায়েত সমিতি। সমিতির সদস্য রাজিনা ঘালি, কৈলাস খাওয়াসদের বক্তব্য, পরিকাঠামো উন্নয়ন হলে খারবানিতে নতুন করে হোটেল, হোমস্টে গড়ে উঠবে। ইতিমধ্যে অনেকে এ ব্যাপারে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন বলে তাঁরা জানান।
আদিত্য প্রধানের বক্তব্য, ‘পরিকাঠামো উন্নয়নের ক্ষেত্রে আমরা রাস্তা এবং গ্রাউন্ড লেভেলিংয়ে অগ্রাধিকার দিচ্ছি। পাশাপাশি কাজ চলছে প্যাভিলিয়ন তৈরির। গ্রাউন্ড লেভেল এবং রাস্তা তৈরির কাজ আগামী তিন মাসের মধ্যে শেষ হয়ে যাবে বলে আশাবাদী।’
আসালিয়া জলপ্রপাতকে কেন্দ্র করে পঞ্চায়েত সমিতি খারবানিকে সাজিয়ে তোলার সিদ্ধান্ত নেওয়ায় খুশি মিরিকের পর্যটন ব্যবসায়ীরা। এমনই একজন দীপক গুরুং বলেন, ‘মিরিকের লেকের জন্যই মূলত পর্যটক এখানে আসে। কিছু পর্যটক আসেন পশুপতি বাজারের জন্যও। কিন্তু খারবানিকে নতুন রূপ দেওয়া হলে জলপ্রপাতটির জন্যও পর্যটক পাওয়া যাবে।’ এর ফলে ওই এলাকার কর্মসংস্থান বৃদ্ধি পাবে বলে আশাবাদী পর্যটন ব্যবসায়ী মিলন ছেত্রী।
হিলি: যৌনাঙ্গে লুকিয়ে শোনা পাচারের ছক ভেস্তে দিল সীমান্ত রক্ষী বাহিনী। সোমবার বিকেলে হিলি সীমান্ত…
উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্ক: বলিউডের অভিনেত্রীকে সামনে দেখেও নিষ্পৃহ একটি ফুড ডেলিভারি অ্যাপের ডেলিভারি বয়।…
উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্ক: বিক্ষিপ্ত কিছু উত্তেজনার ঘটনা ছাড়া মোটের উপর শান্তিতেই মিটল পঞ্চম দফার…
উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্ক: ভোটের (Lok Sabha Election 2024) আবহে রাজ্য পুলিশে (Bengal Police) রদবদল…
শিলিগুড়ি: উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষণা করতে এসে মর্মান্তিক মৃত্যু হয় তরুণী ছাত্রী ববিতা দত্তের। বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশেই…
আসানসোল: বন্ধুদের সঙ্গে দামোদর নদীতে স্নান করতে গিয়ে জলে ডুবে মৃত্যু হলো এক স্কুল পড়ুয়ার।…
This website uses cookies.