বারাবনি ও আসানসোলঃ বাড়ির জ্বালানির জন্য কয়লা আনতে বেরিয়ে কয়লার চাঁই চাপা পড়ে মৃত্যু হল দুই যুবকের। বৃহস্পতিবার রাত ১১টা নাগাদ এই মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে পশ্চিম বর্ধমান জেলার আসানসোলের বারাবনি থানার দোমোহানি গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত চরণপুর খোলামুখ কয়লাখনি সংলগ্ন কাশিডাঙ্গা এলাকায়। মৃত দুজনের নাম হল বারাবনি থানার চরণপুরের শ্যামল বাউরি (৩৯) ও কাশিডাঙ্গার বাসিন্দা সাধন বাউরি (৩০)। শুক্রবার দুপুরে আসানসোল জেলা হাসপাতালে যুবকদের মৃতদেহর ময়নাতদন্ত হয়।
জানা গিয়েছে, গতকাল রাত ১১টা নাগাদ বাড়ি থেকে বেরিয়ে কয়লা আনতে গিয়েছিলেন শ্যামল বাউরি ও সাধন বাউরি। পরে তাঁদের চরণপুর খোলামুখ কয়লাখনির কাছে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখা যায়। খবর পেয়ে বারাবনি থানার পুলিশ ও এলাকার বাসিন্দারা ঘটনাস্থলে যায়। রাত সাড়ে ১২টা নাগাদ দুজনকে উদ্ধার করে আসানসোল জেলা হাসপাতালে নিয়ে আসা হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁদের মৃত বলে ঘোষণা করেন।এই ঘটনার খবর আসার পরে চরণপুর ও কাশিডাঙ্গা এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে।
এক আত্মীয় অনিল বাউরি জানান, সাধন বাউরি পেশায় একজন রাজমিস্ত্রি ছিলেন। সে বৃহস্পতিবার রাত দশটা নাগাদ জ্বালানির কয়লা আনতে গিয়েছিলেন চরণপুর খোলামুখ কয়লাখনি এলাকায়। সে সঙ্গে তার বউকে নিয়ে গেছিলেন। পরে আমরা জানতে পারি যে, সাধন ও অন্য একজন কয়লাখনি এলাকায় দুর্ঘটনায় মারা গেছে। বুঝতে পারছি না, কি করে হল। তাঁর স্ত্রী দুর্ঘটনাস্থল থেকে দূরে থাকায় তাঁর কিছু হয়নি। ছেলের মৃত্যুর খবরে সাধন বাউরির মা কান্নায় ভেঙে পড়েন।
পুলিশের এক আধিকারিক এই প্রসঙ্গে বলেন, বৃহস্পতিবার রাতে এই দুজন যখন খোলামুখ কয়লাখনি এলাকার রাস্তা দিয়ে যাচ্ছিলেন, তখন চলন্ত ডাম্পার থেকে কয়লার চাঁই তাঁদের উপরে পড়ে। তাতে চাপা পড়ে মৃত্যু হয় দুজনের। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।