পুরাতন মালদা: রানিগঞ্জে সোনার দোকানে ডাকাতির ঘটনায় ডাকাত ধরে প্রশংসা কুড়িয়েছিলেন পুলিশ অফিসার মেঘনাদ মণ্ডল। কিন্তু গাজোলে ব্যাংক ডাকাতির (Gazole Bank Dacoity) ঘটনায় উলটপুরাণ। ডাকাতদের ধরে সংবাদমাধ্যমের সামনে মুখ খোলার জেরে শাস্তির মুখে পড়লেন মালদা থানার (Malda Police) এএসআই বিশ্বম্ভর রায়। তাঁকে ক্লোজড করে পুলিশলাইনে পাঠানো হয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্ত না হওয়া পর্যন্ত তিনি তাঁর ক্ষমতা প্রয়োগ করতে পারবেন না। তবে বিভাগীয় তদন্তের পর তিনি আবার আগের ক্ষমতা ফিরে পাবেন।
গত ২৪ জুলাই গাজোলের (Gazole) কৃষ্ণপুরে কৃষি সমবায় ব্যাংকে ডাকাতির ঘটনা ঘটে। ব্যাংকের ম্যানেজারকে গুলি করে বোমা ফাটিয়ে ডাকাতরা ছোট ছোট দলে ভাগ হয়ে পালিয়ে যায়। পুলিশের তাড়ায় তাদের একটি দল পুরাতন মালদার পাড়াদিঘি গ্রামে ঢুকে পড়ে। সেদিন জেলা পুলিশ কার্যত চক্রব্যূহ তৈরি করে ডাকাতদলকে চারিদিকে ঘিরে ফেলেছিল। ওই অভিযানে ছিলেন এএসআই বিশ্বম্ভর রায় সহ মালদা থানা পুলিশের একটি বিশেষ দল। তাঁরা ওই গ্রামের চারদিকে ঘিরে ফেলে ডাকাতদলকে ধরে ফেলেন। সেদিন পুলিশের সঙ্গে ডাকাতদলের গুলি বিনিময়ও হয়। এক ডাকাতের পায়ে এবং আরেকজনের কোমরে পুলিশের গুলি লাগে। এই অভিযানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছিলেন বিশ্বম্ভরবাবু।
পুলিশের একটি সূত্র বলছে, ওই এএসআই গুলিবিদ্ধ ডাকাতদের হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাঁকে চেপে ধরে সংবাদমাধ্যম। একের পর এক প্রশ্নে একসময় তিনি সংবাদমাধ্যমের সামনে মুখ খুলে ফেলেন। এতেই তাঁর কাল হয়। তবে তাঁকে লঘু পাপে গুরু দণ্ড দেওয়া হয়েছে বলে মনে করছেন জেলা পুলিশের অনেকেই। ইতিমধ্যেই তাঁর বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্ত শুরু হয়েছে।