পঙ্কজ মহন্ত, বালুরঘাট: পুলিশের চাকরি মানেই ব্যস্ততার ঘেরাটোপ থেকে বেরোনো মুশকিল। সদা কর্মব্যস্ত চাকরি জীবনে থেকেই তাঁর ইচ্ছে ছিল বোল্লাকালীকে নিয়ে গান করার। বর্তমানে তিনি অ্যাসিস্ট্যান্ট সাব ইনস্পেকটরের পদ (ASI) সামলাচ্ছেন। কর্মব্যস্ততার মাঝেই তিনি গানের নেশায় ডুবে থাকেন। ছেলেবেলায় অনেকটা সময় বোল্লাকালীর চত্বরেই তাঁর কেটেছে। শুক্রবার ঐতিহ্যবাহী বোল্লাকালী পুজো। তাই বোল্লা মাকে শ্রদ্ধা জানাতে তিনি এই গান সকলের সামনে এনেছেন (Bolla Kali)। তার আগেই মুক্তি পেল কলকাতা পুলিশে কর্মরত উৎপল ঘোষের ‘জয় বোল্লাকালীর জয়’ গান (New song)। এখন কলকাতায় সপরিবারে তাঁর বাস। বালুরঘাটের খাসপুর হাইস্কুলে তাঁর পড়াশোনা। ছোটবেলায় কেটেছে বোয়ালদার গ্রামের সৈয়দপুর এলাকায়। যার অদূরেই রয়েছে বোল্লাকালী মন্দির। বালুরঘাট হাইস্কুল থেকে উচ্চমাধ্যমিক পাশ করে কলকাতা পুলিশে তাঁর চাকরি হয়। মঙ্গলবার তাঁর গাওয়া বোল্লাকালীর জয় মুক্তি পেয়েছে। যেখানে পুরোহিতদের মাধ্যমে বোল্লাকালীর পুজোর ছবিও ফুটে উঠেছে। ‘বাংলার ফোক’ ইউটিউব চ্যানেল থেকে তাঁর সদ্য মুক্তিপ্রাপ্ত গান শুনে পুলিশের ঊর্ধ্বতন আধিকারিকরাও কুর্নিশ জানিয়েছেন। গানটির সুরকার ও গীতিকার গঙ্গারামপুরের বাসিন্দা রাজু রায়। তিনিও কলকাতা পুলিশে কর্মরত। গানটির মিউজিক ডিরেক্টর সন্তু দাস ও রেকর্ডিস্ট দুর্গেশ প্রসাদ। কলকাতার টালিগঞ্জ রাধা সুদর্শন মিউজিক থেকে গানটি রেকর্ডিং হয়েছে। এদিন মুক্তি পাওয়ার কয়েক ঘণ্টার মধ্যে শতাধিক মানুষ তাঁর গান শুনে ফেলেছেন। উৎপলবাবুর স্ত্রী শম্পা ঘোষ গৃহবধূ। উৎপলবাবুর মেয়ে লুকোচুরি ঘোষ গানের জগতে রয়েছেন। বোল্লা নিয়ে তারও গান মুক্তি পেয়েছে সোমবার। পাশাপাশি, বিভিন্ন সিরিয়ালেও কাজ করছে সে।
গায়ক তথা পুলিশকর্মী উৎপল ঘোষ বলেন, ‘চাকরি সূত্রে কয়েক দশক ধরে কলকাতায় আছি। কিন্তু এখনও স্মৃতিতে বোল্লাকালী উজ্জ্বল। মায়ের আশীর্বাদে বহু প্রতিকূলতা পেরিয়ে দীর্ঘদিনের স্বপ্নপূরণ হল। শুক্রবার বোল্লা কালীমন্দিরে গিয়ে ধুমধাম করে পুজো দেব। পুলিশের কাজ করে যতটা সময় পাই গান ও সাহিত্যচর্চা করি। এই গানের মহড়া সহ পুরোটা সম্পূর্ণ করতে যথেষ্ট পরিশ্রম করতে হয়েছে। গুরুর কাছে গানের শিক্ষা পাইনি। আমার দপ্তর থেকে সবসময় উৎসাহিত করে।’