রাহুল দেব, রায়গঞ্জ: ভোটে জিতলে দুর্নীতিমুক্ত রায়গঞ্জ গঠনের কথা জানালেন বিধানসভা উপনির্বাচনের (Raiganj Assembly Bypoll) তৃণমূল প্রার্থী কৃষ্ণ কল্যাণী (Krishna Kalyani)। তার এই মন্তব্যের পর থেকেই জল্পনা শুরু হয়েছে রায়গঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্রে। কারণ বেশ কয়েক মাস আগে সোশ্যাল মিডিয়ায় দুর্নীতিমুক্ত রায়গঞ্জ পুরসভা গঠনের কথা জানান কৃষ্ণবাবু। শুক্রবার কৃষ্ণবাবু রায়গঞ্জ পুরসভায় (Raiganj Municipality) গিয়ে প্রশাসক মণ্ডলীর চেয়ারপার্সন সন্দীপ বিশ্বাস সহ অন্যান্যদের সঙ্গে আলোচনায় বসেন। সদ্য হয়ে যাওয়া লোকসভা নির্বাচনে রায়গঞ্জ পুর এলাকায় ২১ হাজারের অধিক ভোটে পিছিয়ে ছিলেন কৃষ্ণবাবু। সেই সময় কৃষ্ণবাবুর ‘একলা চলো’ নীতির কারণেই এমন ভরাডুবি হয়েছিল বলে মত রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের। এমতাবস্থায় কৃষ্ণের ‘দুর্নীতিমুক্ত রায়গঞ্জ’ গঠনের কথায় ফের পুরসভার দিকেই আঙুল উঠল বলে মনে করছে বিরোধী শিবির। আর পুরসভার বৈঠক থেকে বেরিয়েই উত্তর দিনাজপুর প্রেসক্লাবে এসে এই মন্তব্যে ব্যাপক জলঘোলা হয়েছে।
সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে কৃষ্ণ কল্যাণী বলেন, ‘অতীতে আমার যেসব ভুল-ত্রুটি ছিল সেগুলো শুধরে নিয়েছি। রায়গঞ্জে যাতে কোনওরকম দুর্নীতি না হয়, রায়গঞ্জ যেন সুরক্ষিত থাকে সেটাই আমার মূল লক্ষ্য। রায়গঞ্জকে ক্রিমিনাল মুক্ত করব। রায়গঞ্জে জমি, মাটি নিয়ে যদি কোনও অবৈধ কাজ হয় তার বিরুদ্ধে আমি রুখে দাঁড়াব।’
এর পরিপ্রেক্ষিতেই তৃণমূল প্রার্থীকে বিদ্ধ করেছেন বিজেপির জেলা সভাপতি বাসুদেব সরকার। তিনি বলেন, ‘রায়গঞ্জ পুরসভায় কাটমানি ছাড়া তো কিছুই চলে না। পাশাপাশি শহর ও সংলগ্ন এলাকায় যত জায়গায় পুকুর ভরাট বা মাটি পাচারের ঘটনা ঘটে সেগুলো সব কিছুতেই তৃণমূল জড়িত। তাই তৃণমূল প্রার্থী কি ঘুরিয়ে নিজের দলের বিরুদ্ধেই লড়াইয়ের কথা জানালেন?’
যদিও তৃণমূল প্রার্থী কৃষ্ণ কল্যাণীর সাফাই, ‘পুরসভার কথা নয়। আমি সর্বস্তরের কথা বলেছি। রায়গঞ্জ পুরসভা অনেক ভালো কাজ করেছে এবং এই পুরসভার পরিষেবা খুব ভালো। যে কারণে রায়গঞ্জ আজ ‘মডার্ন সিটি’ হওয়ার দিকে এগোচ্ছে। পাঁচ বছর আগের রায়গঞ্জের থেকে বর্তমান রায়গঞ্জ অনেক বেশি উন্নত।’