নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পাহাড়ের খাদে গাড়ি, দুর্ঘটনায় মৃত্যু কমপক্ষে ৯ মহিলা চা শ্রমিকের

উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্কঃ নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে জিপ খাদে পড়ে মৃত্যু হল ৯ চা শ্রমিকের। আহত আরও ৫। শুক্রবার বিকেলে এই ভয়াবহ দুর্ঘটনাটি ঘটে কেরলের ওয়ানাডে। মৃতদের প্রত্যেকেই মহিলা চা শ্রমিক বলে খবর। আহতদের মানন্তবাদী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভরতি করা হয়। সেখানেই তারা চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এই ঘটনায় গভীর শোক প্রকাশ করেছেন কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন।

জানা গিয়েছে, শুক্রবার বিকেল তিনটে নাগাদ ওয়ানাডের মানানথাবাদির থালাপ্পুঝা থানার অধীনে কান্নোথ পাহাড়ের কাছে একটি জিপ গাড়ি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়ে যায়। জিপটি কানোথ পাহাড় থেকে থালাপ্পুঝার দিকে নামছিল। গাড়িটিতে চালক সহ ১৪ ছিল বলে অনুমান। যাত্রীদের প্রায় সবাই মহিলা চা শ্রমিক ছিলেন। দুর্ঘটনার সময় তাঁরা বাড়ি ফিরছিলেন। এদিকে দুর্ঘটনার জেরে জিপটি সম্পূর্ণ ভাবে দুমড়ে মুচড়ে যায়। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় ৯ চা শ্রমিকের। দুর্ঘটনার খবর পাওয়া মাত্রই উদ্ধারকার্যে হাত লাগায় স্থানীয়রা। ঘটনাস্থলে আসে মানানথাবাদির থালাপ্পুঝা থানার পুলিশ। ঘটনাস্থল থেকে হতাহতদের উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয় মানন্তবাদী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। দুর্ঘটনা প্রসঙ্গে থালাপ্পুঝা স্টেশনের একজন কর্মকর্তা বলেন, ‘জিপটি কানোথ পাহাড় থেকে থালাপ্পুঝার দিকে নামছিল। তখন চালক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলে এবং গাড়িটি রাস্তার পাশে একটি গভীর খাদে পড়ে যায়।’

থাভিনহাল পঞ্চায়েতের ওয়ার্ড সদস্য মুরুকেশান পিএস বলেন, ‘কান্নোথ পাহাড় থেকে থালাপ্পুঝার দিকে যাওয়ার রাস্তাটি বেশ কিছু অংশে বেশ খাড়া। এই পথে বেশ কয়েকটি তীক্ষ্ণ বাঁক রয়েছে। রাস্তার একপাশে একটি গভীর খাদ রয়েছে। জ্বালানি বাঁচাতে গাড়ি চালানোর সময় জিপ চালক অনেক সময়ই গাড়িটিকে নিউট্রাল গিয়ারে রাখে। তবে এই ক্ষেত্রে কীভাবে দুর্ঘটনাটি ঘটেছে তা স্পষ্ট নয়। জিপটি ২০ মিটার গভীর খাদে পড়ে যায়।’

কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন দুর্ঘটনাটিকে ‘অত্যন্ত দুঃখজনক’ বলে অভিহিত করেছেন। নিহতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন তিনি। এই ঘটনায় ওয়ানাডের সাংসদ তথা কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধিও এই দুর্ঘটনায় শোক প্রকাশ করেন। সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্স-এ একটি পোস্টে করে তিনি লেখেন, ‘ওয়ানাডের মর্মান্তিক জিপ দুর্ঘটনার কথা জানতে পেরে আমি গভীরভাবে শোকাহত। ৯ জন মহিলা চা শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। দ্রুত পরিস্থিতি মোকাবিলায় জেলা কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলেছি। শোকসন্তপ্ত পরিবারের সঙ্গে আছি আমি। আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করছি।’