ফাঁসিদেওয়া: স্থানীয়দের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ভাড়া নিয়েই চলছিল কারবার। চটহাটে পুলিশি অভিযানে উদ্ধার হওয়া ব্যাংক অ্যাকাউন্টের নানা সামগ্রী উদ্ধার কাণ্ডে এমনই তথ্য উঠে এসেছে প্রাথমিক তদন্তে। পুলিশ সূত্রে খবর, জামতাড়া গ্যাংয়ের আদলে তৈরি চক্রটি পরিচালনা করা হত বিদেশ থেকে। সেই কারণেই ঘটনায় মূল অভিযুক্ত সইদুল ইসলাম ঘনঘন দুবাই যেতেন বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা। গোটা কারবারে ফাঁসিদেওয়া ব্লকের (Phansidewa) কমপক্ষে ১০ জন জড়িত রয়েছে বলে তাঁদের অনুমান৷
চটহাটের বাসিন্দা অনিল গোপকে মঙ্গলবারই গ্রেপ্তার করেছিল পুলিশ। বুধবার তাঁকে শিলিগুড়ি মহকুমা আদালতে তোলা হলে পুলিশের তরফে ১৪ দিনের পুলিশ হেপাজতের আর্জি জানানো হয়। বিচারক তাঁকে ১০ দিনের পুলিশ হেপাজতে পাঠিয়েছেন। এদিকে, মঙ্গলবার দিনভর তল্লাশির পর গভীর রাতে ঘটনায় আরেক অভিযুক্ত মহম্মদ সইদুলের বাড়ি থেকে দুটি বিলাসবহুল গাড়ি বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ।
দার্জিলিংয়ের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (কার্সিয়াং) অভিষেক রায় বলছেন, ‘ভারতের বাইরে থেকে এই কারবার পরিচালনা করা হচ্ছিল। মূলত অনলাইনে অবৈধ কারবারের টাকা এই অ্যাকাউন্ট দিয়ে তোলা হচ্ছিল। ধৃতকে হেপাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তদন্ত চলছে।’
অভিযানে উদ্ধার হওয়া ব্যাংকের পাসবই, চেকবই, এটিএম কার্ড সবই ফাঁসিদেওয়া ব্লকের বিভিন্ন ব্যাংকের শাখার। এর মধ্যে রয়েছে ২টি রাষ্ট্রায়ত্ত এবং ৪টি বেসরকারি ব্যাংক। উদ্ধার হওয়া নথির তথ্য অনুযায়ী ব্যাংক অ্যাকাউন্টগুলির লেনদেনের হিসেব সংশ্লিষ্ট ব্যাংকগুলির কাছে পুলিশ চেয়ে পাঠিয়েছে। সেইসঙ্গে অ্যাকাউন্টগুলি দ্রুত ফ্রিজ করার অনুরোধ জানানো হয়েছে বলে অসমর্থিত সূত্রে খবর মিলেছে। এদিনও ফাঁসিদেওয়ার বিভিন্ন জায়গায় অভিযুক্তদের খোঁজে তল্লাশি চালিয়েছে দার্জিলিংয়ের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (কার্সিয়াং) অভিষেক রায়, এসডিপিও (মিরিক) বিনোদ মিনা সহ পুলিশের বিশেষ দল৷
পুলিশের একটি সূত্র বলছে, প্রায় ৩ বছরের বেশি সময় ধরে চটহাট এলাকায় কারবার চলছিল। তবে উদ্ধার হওয়া ব্যাংক অ্যাকাউন্টগুলি কবে থেকে খোলা শুরু হয়েছিল সেই তথ্য পুলিশের হাতে আসেনি। উদ্ধার হওয়া নথি ঘেঁটে তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন, শুধু একজনের নামেই ১০টির বেশি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খোলা হয়েছিল। এমন হওয়ার পিছনে শুধু গ্রামীণ এলাকার মানুষের সরলতাই নয়, ছিল বাড়তি আয়ের ভয়ংকর বাসনাও৷ যা এত বড় অবৈধ কারবারকে এতদিন ইন্ধন জুগিয়েছে। এই কারবারের জন্য বিভিন্ন অনলাইন কাফেতে গ্রাহকের তোলা ছবি, আধার, ভোটার কার্ডও ব্যবহার হয়েছে। এক্ষেত্রে অবশ্য ব্যাংকগুলির দায়ও কম না বলে দাবি তদন্তকারীদের।
এসডিপিও (মিরিক) বিনোদ মিনা বলছেন, ‘সাধারণ মানুষকে আধার কার্ড দেওয়ার আগে আরও সাবধান হওয়া প্রয়োজন।’ কিছু ব্যাংক সেলস এগজিকিউটিভদের চাপ দেয়। ফলে সঠিক নথি না দেখেই অনেকসময় ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খুলে দেওয়া হয় বলে মন্তব্য করেছেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (কার্সিয়াং) অভিষেক রায়।
হরিশ্চন্দ্রপুর : মিড ডে মিলে (Mid day meal) দুর্নীতি করার জন্য ক্রমাগত চাপ দেওয়া হচ্ছে।…
তপন বকসি, মুম্বই: প্রয়াত প্রবীণ অভিনেত্রী স্মৃতি বিশ্বাস (Smriti Biswas)। একসময় মুম্বইয়ে (Mumbai) রাজপাট চালানো…
উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্ক: জীবনের গল্প সিনেমাকেও হার মানায়। যে কোনও সময় বিপর্যয় ঘটতে পারে।…
উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্ক: আদালতে জামিনের আর্জি জানিয়ে চোখে জল প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি…
উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্ক: চুক্তিভিত্তিক শিক্ষাকর্মীদের ৫ লক্ষ টাকা করে অবসরকালীন ভাতা দেবে রাজ্য সরকার।…
গাজোল: জায়গা দখলকে (Land grab) কেন্দ্র করে বুধবার গভীর রাতে ধুন্ধুমারকাণ্ড বাধল গাজোলের (Gazole) শিক্ষক…
This website uses cookies.