শিলিগুড়ি: গুয়াহাটি থেকে লরির গোপন চেম্বারে গাঁজা নিয়ে বিহারের দিকে যাচ্ছিল দুই যুবক। শিলিগুড়ি পুলিশ কমিশনারেট এলাকায় প্রবেশ করতেই ২২৩ কেজি গাঁজা সমেত দুজনকে গ্রেপ্তার করল নিউ জলপাইগুড়ি থানার পুলিশ। বৃহস্পতিবার রাতে শিলিগুড়ির ফুলবাড়ি সংলগ্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ধৃতদের নাম নীতিশ কুমার ও এম ডি আসলাম। ধৃতরা দুজনেই বিহারের বেগুসরাইয়ের বাসিন্দা। বাজেয়াপ্ত হওয়া গাঁজার বাজার মূল্য প্রায় ৩০ লক্ষ টাকা বলে দাবি পুলিশের। ধৃতদের শুক্রবার জলপাইগুড়ি জেলা আদালতে তুলে হেপাজতে নিয়েছে পুলিশ।
জানা গিয়েছে, পুলিশের কাছে খবর ছিল বিপুল পরিমান গাঁজা নিয়ে দুই যুবক গুয়াহাটির দিক থেকে শিলিগুড়ি হয়ে বিহারের দিকে যাবে। সেইমতো শিলিগুড়ির পুলিশ এবং জলপাইগুড়ি জেলা পুলিশের সীমানায় অপেক্ষা করছিলেন তদন্তকারীরা। অভিযুক্তরা লরি নিয়ে শিলিগুড়ি পুলিশ কমিশনারেট এলাকায় প্রবেশ করতেই দাঁড় করানো হয়। এরপর অভিযুক্তদের আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। দেখা যায়, খালি লরি নিয়ে অভিযুক্তরা বিহারের দিকে যাচ্ছে। কিন্তু লরির একদম শেষ মাথায় ত্রিপল দেখে পুলিশের সন্দেহ হয়। সন্দেহবশত পুলিশকর্মীরা লরিতে উঠে ত্রিপল সরিয়ে খোঁজখবর করতেই দেখে একটি গোপন চেম্বার করা হয়েছে। সেই চেম্বারের ভেতরে রয়েছে গাঁজার প্যাকেট। এরপরেই লরি সমেত অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করে থানায় নিয়ে আসা হয়। থানায় এনে লরিতে ভালো করে তল্লাশি চালানো হয়। দেখা যায় লরির চালকের আসনের ওপরের ছাদেও গোপন কুঠুরি করা হয়েছে। সেই কুঠুরিতে তল্লাশি চালিয়ে গাঁজা বাজেয়াপ্ত করা হয়। অভিযুক্তদের জিজ্ঞাসাবাদ করতেই বেরিয়ে আসে আরও চাঞ্চল্যকর তথ্য। ধৃতরা ৪০ হাজার টাকার বিনিময়ে ওই গাঁজা বিহারে পৌঁছে দেওয়ার ঠিকা নিয়েছিল। ওই লরি কিংবা গাঁজা কোনটাই তাদের নয়। গুয়াহাটির এক এজেন্টের সঙ্গে তাদের যোগাযোগ হয়েছিল। সেই এজেন্টের মাধ্যমেই বিহার থেকে ট্রেনে করে গুয়াহাটিতে যায় অভিযুক্তরা। সেখানে আগে থেকেই গাঁজা লোড করে লরি তৈরি রাখা হয়েছিল। অভিযুক্তরে গুয়াহাটি পৌঁছোতেই তাদের প্রাপ্য টাকা বুঝিয়ে লরির চাবি হাতে দিয়ে দেওয়া হয়। বিহারের একটি জায়গায় লরিটি পৌঁছে দেওয়ার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করে অভিযুক্ত এজেন্ট সহ আরও কারা জড়িত রয়েছে তাদের খোঁজ শুরু করেছে পুলিশ।