পল্লব ঘোষ, আলিপুরদুয়ার: দু’দিনের বৃষ্টিতে খুব একটা জল না জমলেও কাদায় ভর্তি হয়ে উঠেছে স্কুলগুলির মাঠ। এমনিতেই এখন পুজোর আমেজ চারদিকে, তার ওপর বৃষ্টির কারণে কেউ আর স্কুলে যেতে চাইছে না। কাদায় ভর্তি মাঠে সমস্যায় পড়ছে খুদেরা। সবমিলিয়ে দু’দিনের বৃষ্টিতে উপস্থিতির হার কমেছে। কেউ স্কুলে এলেও পড়াশোনায় মনোযোগ দেওয়ার বদলে কার ক’টা জামা হল, কার ক’টা জুতো হল তা নিয়ে আলোচনা চলছে।
শহরের ম্যাক উইলিয়াম হায়ার সেকেন্ডারি স্কুল, ম্যাক উইলিয়াম আরআর প্রাথমিক স্কুল, শান্তিনগর আরআর প্রাইমারি স্কুল, বাবুপাড়া হাইস্কুলে দেখা যায় ঢোকার রাস্তা জলকাদায় ভর্তি। কয়েকজন অভিভাবক কোনওরকমে ছাতা মাথায় দিয়ে সন্তানদের নিয়ে আসছেন, আবার অনেকে স্কুলড্রেস বাঁচিয়ে সাবধানে স্কুলে ঢুকছিল। শ্যামলী সরকার ছেলেকে দিতে স্কুলে এসেছিলেন। বললেন, ‘গত কয়েকদিনের বৃষ্টির কারণে জলকাদা জমে রয়েছে। ফলে স্কুলে প্যান্ট গুটিয়ে খুব সাবধানে ঢুকতে হচ্ছে।’ ষষ্ঠ শ্রেণির পড়ুয়া দেবরাজ দাস বলে, ‘সামনেই পুজো, তার উপর বৃষ্টি। স্কুলে যাওয়ার ইচ্ছেই ছিল না।’ লিপিকা বর্মন এসেছিলেন মেয়ে জিনিয়াকে নিয়ে স্কুলে। মেয়ে কিছুতেই স্কুলে আসতে চাইছিল না, বিকেলে মার্কেটে যাওয়ার কথা বলে নিয়ে যান তিনি। এমন জলকাদা জমেছে, মেয়েকে কোলে নিয়ে স্কুলে ঢুকতে হয়, জানান লিপিকা।
শান্তিনগর আরআর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে মাঠে জল জমার কারণে পাশের একটি সরু বিকল্প রাস্তা ব্যবহার করে ছাত্রছাত্রী থেকে শুরু করে শিক্ষক-শিক্ষিকারা। ম্যাক উইলিয়াম হায়ার সেকেন্ডারি স্কুল, বাবুপাড়া হাইস্কুলেও একই ছবি ধরা পড়ে। কাদাজলের কারণে স্কুলে ঢুকতেই দুর্ভোগ পোহাতে হয় সকলকে। শুক্রবার বৃষ্টির কারণে উপস্থিতি তুলনামূলক অনেকটাই কম ছিল। মিনতি সরকার নামে এক অভিভাবক বলেন, ‘জলকাদা জামায় লেগে নষ্ট হচ্ছে। কিন্তু ধোয়া আর হচ্ছে না। কারণ বৃষ্টির কারণে শুকোনোও মুশকিল।’ পা পিছলে পড়ে যাওয়ার সম্ভাবনাও দেখা দেয় এই বৃষ্টিতে। তাই বেশ নজরে নজরে ছিল ছাত্রছাত্রীরা। ম্যাক উইলিয়াম হায়ার সেকেন্ডারি স্কুলের ভারপ্রাপ্ত শিক্ষক অনিলচন্দ্র রায় বলেন, ‘বৃষ্টির কারণে ছাত্রছাত্রীদের উপস্থিতি ছিল অনেকটাই কম। ফিফথ পিরিয়ডের পর ছাত্রছাত্রীদের ছুটি দিয়ে দেওয়া হয়।’