অস্ট্রেলিয়া – ৩০৩ ও ১৫৫
ইংল্যান্ড – ১৮৮ ও ১২৪
হোবার্ট : অন্তিম টেস্টেও ভবি বদলাল না।
তৃতীয় দিনের সকালে মার্ক উডের আগুনে বোলিংয়ের পর আশায় বুক বেঁধেছিল ইংল্যান্ড সমর্থকরা। ২৭১ রানের টার্গেটে ৬৮ রানের জুটিতে প্রত্যাশা আরও বাড়িয়ে দেন ইংরেজ ওপেনারদ্বয়। তারপরও অসহায় আত্মসমর্পণ!
৬৮/০ থেকে ৫৬ রানে ১০ উইকেট খুইয়ে ১২৪-এ অলআউট! জয়ের প্রত্যাশা তৈরি করেও ব্যর্থতার কানাগলিতেই ঘুরপাক খেল জো রুট ব্রিগেড। নিট ফল ১৪৬ রানে চির প্রতিদ্বন্দ্বীকে চূর্ণ করে ৪-০ ব্যবধানেই অ্যাসেজ জয় অস্ট্রেলিয়ার। অন্তিম সেশনে ৯ উইকেট খুইয়ে রণেভঙ্গ থ্রি লায়ন্সের। ফলস্বরূপ গোলাপি টেস্টে একাধিপত্য বজায় থাকল ক্যাঙারু ব্রিগেডের (১০টি দিনরাতের টেস্ট খেলে সবকটিতে জয়)।
অথচ, রবিবার প্রথম সেশনে ছিল ইংল্যান্ডের দাপট। ৩৭/৩ থেকে শুরু করে অস্ট্রেলিয়ার দ্বিতীয় ইনিংসে আগাগোড়া নড়বড়ে মার্ক উড-স্টুয়ার্ট ব্রডের গতি-সুইংয়ে। ৩৭ রান দিয়ে একাই হাফডজন উইকেট নেন উড। ব্রডের ঝোলায় তিন শিকার। দুজনের যুগলবন্দির বিরুদ্ধে প্রতিরোধ বলতে অ্যালেক্স ক্যারির ৪৯। স্টিভেন স্মিথ (২৭), স্কট বোলান্ড (৮), ট্র্যাভিস হেড (৮)- কেউই দাঁড়াতে পারেনি।
মোট ২৭০ রানের লিড নিয়ে অস্ট্রেলিয়ার দ্বিতীয় ইনিংস শেষ হয় ১৫৫-তে। দ্বিতীয় সেশন পর্যন্ত ইংল্যান্ড ভালো জায়গায় ছিল। রোরি বার্নস (২৬), জ্যাক ক্রলি (৩৬)-রা নতুন বলটা সামলে ৬৮ রান যোগ করেন। সিরিজে প্রথম জয়ের জন্য আরও দরকার ছিল ২০৩। উত্তেজক লড়াইয়ে মঞ্চ প্রস্তুত। যদিও শেষ সেশনে ফ্লাডলাইটের আলোয় ইংল্যান্ডের সব জারিজুরি শেষ।
প্রথম ধাক্কাটা দেন ক্যামেরন গ্রিন (৩/২১)। দুই ওপেনার সহ প্রথম তিন উইকেট তুলে নেন এই পেস অলরাউন্ডার। বাকি কাজ সারেন স্কট বোলান্ড (৩/১৮) ও অধিনায়ক প্যাট কামিন্স (৩/৪২)। বেন স্টোকস, স্যাম বিলিংস, ক্রিস ওকস, ওলি পোপ- মিডলঅর্ডারের কেউই দুই অঙ্কের স্কোরে পৌঁছোতে পারেননি। দায়িদ মালান ও জো রুটের অবদান যথাক্রমে ১০ ও ১১।
সিডনিতে শেষ বেলায় এক উইকেট না নিতে পারাটা এখন হয়তো খোঁচা দিচ্ছে ব্যাগি গ্রিনদের। কারণ সেদিন উইকেটটা নিতে পারলে অ্যাসেজে হোয়াইটওয়াশ করা যেত ইংল্যান্ডকে।