সৌম্যজ্যোতি মণ্ডল, চাঁচল: আবাসের চূড়ান্ত তালিকায় নাম বাদ দেওয়ার অভিযোগ ঘিরে উত্তেজনা ছড়াল চঁাচলের কলিগ্রাম পঞ্চায়েতের চণ্ডীগাছিতে। চক্রান্তের অভিযোগ তৃণমূলের স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্যার বিরুদ্ধে। সার্ভের জন্য জয়েন্ট বিডিও যেতেই ক্ষোভ উগরে দেন এলাকাবাসী। জয়েন্ট বিডিও’র গাড়ি তাড়া করেন বঞ্চিত উপভোক্তারা। মঙ্গলবারের এই ঘটনায় সরব হয়েছেন উপভোক্তারা।
এলাকাবাসীর একাংশের অভিযোগ, তঁাদের কঁাচাবাড়ি রয়েছে। দিন আনা দিন খাওয়া সংসার। ২০১৮ সালের তালিকায় প্রত্যেকের নাম ছিল। আবাস প্লাসের সার্ভে শুরু হওয়ার পর তঁাদের বাড়িতে তিনবার সার্ভে হয়। কিন্তু চূড়ান্ত মুহূর্তে তঁাদের নাম তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়। এদের মধ্যে কারও অভিযোগ, তৃণমূলের স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্যার হয়ে তঁার স্বামী অচিন্ত্য দাস সার্ভে শুরু হওয়ার সময় অনেকের কাছ থেকে দুই হাজার টাকা করে নিয়েছিলেন। পরবর্তীতে তঁার ঘনিষ্ঠ এলাকার তৃণমূল সমর্থকদের নাম রয়েছে তালিকায়, যঁাদের অনেকের পাকাবাড়ি রয়েছে। কিন্তু বঞ্চিত উপভোক্তারা কংগ্রেস করায় তঁাদের সঙ্গে বঞ্চনা হয়েছে বলেও অভিযোগ। তঁাদের আশঙ্কা, একটা বড় মাপের দুর্নীতি হয়েছে আবাসের তালিকা নিয়ে। স্থানীয় বাসিন্দা দুলাল দাসের অভিযোগ, ‘তালিকা তৈরির ক্ষেত্রে দুর্নীতি ও স্বজনপোষণ হয়েছে।’
আরেক স্থানীয় অজিত দাসের দাবি, ‘আমাদের কঁাচাবাড়ি রয়েছে কিন্তু কংগ্রেস করি বলে আমাদের নাম বাদ দেওয়া হয়েছে।’ তঁার আরও বক্তব্য, ‘প্রথমে পঞ্চায়েত সদস্যার স্বামী দুই হাজার টাকা করে নিয়েছিলেন। অন্যায়ভাবে আমাদের নাম বাদ গিয়েছে। তাই জয়েন্ট বিডিওকে ঘিরে আমরা বিক্ষোভ দেখিয়েছি।’
যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছেন পঞ্চায়েত সদস্যা শিপ্রা দাস। তঁার বক্তব্য, ‘সমস্ত মিথ্যা অভিযোগ। এখানে আমাদের কোনও হাত নেই।’
জয়েন্ট বিডিও শ্যামল দাসের বক্তব্য, ‘সকলে যাতে সঠিকভাবে ঘর পায়, তাই নিয়ম মেনে সার্ভে হয়েছে।’