মালদা: বাবলা সরকার মার্ডার কেসে তদন্ত এগিয়ে নিয়ে যেতে ঘটনার পুনর্নির্মাণ করা খুব জরুরি। সমস্যাটা এখানেই। দিনেদুপুরে হাজারো মানুষের মধ্যে যা সম্ভব নয়। ধৃত দুষ্কৃতীদের ওপর যে- কোনও সময় প্রাণঘাতী হামলার যথেষ্ট আশঙ্কা রয়েছে। এদিকে ঘটনার দুই পান্ডার খোঁজে ধৃতদের ম্যারাথন জেরা চলছে।
মালদা জেলা তৃণমূলের সহ সভাপতির মার্ডার কেসের তদন্তের দিকে সারা রাজ্যের নজর। সেই কৌতূহল আরও বেড়েছে তাঁর স্ত্রীর রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের স্পষ্ট ইঙ্গিতে। ইতিমধ্যে এই ঘটনায় গ্রেপ্তার হয়েছে পাঁচজন। ফেরার চক্রের দুই মূল পান্ডা। গতকালই উত্তরবঙ্গ সংবাদে প্রকাশিত হয়েছিল রোহন ওরফে কৃষ্ণ রজকের পাশাপাশি পুলিশের রাডারে আরও একটি নাম ঘুরছে। সেই সন্দেহভাজন বাবলু যাদবের নামও সামনে এনেছে পুলিশ। রোহন ও বাবলুর খোঁজ দিতে পারলে জেলা পুলিশের তরফে ২ লক্ষ টাকা করে পুরস্কার দেওয়া হবে বলে ঘোষণা করা হয়েছে।
এদিকে, ধৃতদের থেকে আরও তথ্য পেতে ম্যারাথন জেরাকে হাতিয়ার করেছেন জেলা পুলিশের শীর্ষ আধিকারিকেরা। পুলিশ সুপারের উপস্থিতিতে শনিবার রাত নটা থেকে ভোর পাঁচটা পর্যন্ত ধৃতদের জেরা করা হয়েছে। বিভিন্ন সময় একেক আধিকারিক নানা দিক দিয়ে ধৃতদের জেরা করেছেন। তবে টার্গেট সেই ওয়ান্টেড রোহন আর বাবলু। ধৃতদের কল রেকর্ড অ্যানালাইসিসকেও বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। ঘটনার পর থেকে দুই ওয়ান্টেডের ফোন বন্ধ। তদন্তকারীদের ধারণা, আততায়ীরা নতুন ফোন ও সিম ব্যবহার করছে। যার সূত্র পেতে মরিয়া পুলিশ।
বাবলার মার্ডার কেসে ধৃতদের ১৭ তারিখ ফের আদালতে পেশ করতে হবে। তার আগে সেরে নিতে হবে ঘটনার পুনর্নির্মাণ প্রক্রিয়া। হাতে এখনও সময় থাকলেও পুনর্নির্মাণ নিয়ে পুলিশের মাথায় চিন্তার ভাঁজ পড়েছে। কারণ, নিহত বাবলার অনুগামীরা ক্ষোভে ফুঁসছেন, তার উপর ঘটনাস্থল জনবহুল। ফলে ধৃতদের ওপর হামলা হওয়ার সম্ভাবনা থাকছে। ঝুঁকি এড়াতে কয়েকদিন ধরে ছোট ছোট করে ঘটনার পুনর্নির্মাণের পথে হাঁটতে পারেন তদন্তকারীরা। আজ মাঝরাত থেকেই সেটা শুরু হওয়ার সম্ভাবনা।