মালদা: বাবলা সরকার খুন মামলায় আইনজীবীর ভূমিকায় থাকছেন স্ত্রী চৈতালি সরকার। বাবলা খুনে ধৃত নরেন্দ্রনাথ তিওয়ারি ও স্বপন শর্মাকে শুক্রবার দ্বিতীয়বারের জন্য মালদা জেলা আদালতে সিজেএম-এর এজলাসে তোলা হয়। চৈতালি সেখানে পুরো শুনানি প্রক্রিয়ায় শামলা গায়ে উপস্থিত ছিলেন। তাঁর আইনজীবী পরিচয় থাকলেও সদ্য স্বামী হারানো এবং শেষকৃত্য সেরে ওঠা চৈতালিকে পেশাদারি বেশে আদালতে দেখে অনেকেই হতবাক হয়ে যান। এদিন অবশ্য কোর্ট রুমের ভেতর দুইহাতে মাথা চেপে নিশ্চুপ থাকলেও পরে বলেন, ‘শুনানিকে কে কিভাবে প্রভাবিত করার চেষ্টা করছে সেটাই দেখতে আসা। স্বামী হত্যাকাণ্ডের শেষ দেখতে হলে তো আমাকে আদাতলে থাকতেই হবে।’
বাবলা খুনের পরেই চৈতালির দাবি করেছিলেন, পেছনে বড় মাথা রয়েছে। একমাত্র দল চাইলেই সেটা প্রকাশ্যে আসা সম্ভব। নইলে অসংখ্য কেসের মতোই মূল চক্রী আড়ালে থেকে যাবে। সেই সঙ্গেই বলেছিলেন তিনি শেষ দেখে ছাড়বেন। এবার স্বামীর পারলৌকিক কাজ মেটার একদিন পরেই আইনজীবী বেশে আদালতে হাজির হয়ে সেই প্রতিজ্ঞা পূরণের পথেই পা বাড়লেন তিনি।
নন্দু-স্বপন জুটির প্রথমবারের পুলিশি হেপাজতের মেয়াদ শেষে এদিন তাদের আদালতে হাজির করা হয়েছিল। সিজেএম এজলাসে মামলাটি ওঠে বিকাল ৪.৫০ নাগাদ। কিন্তু উদগ্রীব চৈতালি ঘনিষ্ঠ কয়েকজন আইনজীবীর সঙ্গে ৪.১৫তেই আদালত কক্ষে ঢুকে পড়েন। তিনি বাবলা খুনের ঘটনায় অভিযোগকারী। সরকার পক্ষের আইনজীবী এপিপি দেবজ্যোতি পাল তাঁর অভিযোগের পক্ষে মামলা লড়ছেন।
প্রথমে অনেকে ভেবেছিলেন নিহত নেতার স্ত্রী, তাই চৈতালি আদালতে এসেছেন। কিন্তু শামলা পোশাকে কেন? চৈতালি আদালতে সংবাদমাধ্যমের সামনে তেমনভাবে মুখ না খুললেও শুনানি শুরুর আগে আইনজীবীদের সঙ্গে আলোচনা করেন। পরে উত্তরবঙ্গ সংবাদকে বলেন, এটা আর দশটা সাধারণ খুনের কেসের মতো নয়, তাই সরকার পক্ষ মামলা লড়লেও আমার ঘনিষ্ঠ কয়েকজন আইনজীবী ডিফ্যাক্টো টিম হিসেবে পেছনে থাকছে। আমার স্বামীর মামলা, সেই টিমে আমিতো নিশ্চিত ভাবেই থাকছি।’ সদ্য স্বামী হারা চৈতালিকে গত কয়েকদিন বিধ্বস্ত দেখিয়েছে। এদিন তিনি অনেকটাই স্বাভাবিক। মালদার লোকজন যা দেখে অভ্যস্ত।