সৌম্যজ্যোতি মণ্ডল, মালদা: খুনের ৭২ ঘণ্টা অতিক্রান্ত। তবুও ধরা পড়েনি মূল ষড়যন্ত্রকারী। স্পষ্ট নয় মূল মোটিভও। যা নিয়ে রীতিমতো ক্ষুব্ধ বাবলার স্ত্রী চৈতালি ঘোষ সরকার। শ্রাদ্ধের কাজ মিটলেই তিনি মুখ্যমন্ত্রীর দ্বারস্থ হতে চান। একইসঙ্গে তাঁর দাবি, দু-তিনদিনের মধ্যে মাথাকে ধরতে হবে, এটাই চাই।
বাবলার স্ত্রীর দাবি, ‘এক থেকে দুদিনের মধ্যে মূল মাথাদেরও গ্রেপ্তার করতে হবে। কোনওভাবেই যাতে কোনও প্রলোভন বা ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে তারা বেঁচে না যায়। সেটা আমি মুখ্যমন্ত্রীকে জানাব।’
প্রথমদিন থেকে সংবাদমাধ্যমের সামনে চৈতালি ষড়যন্ত্রের তত্ত্বের কথা সহ বিভিন্ন অভিযোগ করেছেন। রবিবারও কার্যত সেই একই অভিযোগ করলেন। মূল মাথারা যাতে কোনওভাবেই আড়াল না হয়, তার জন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সহযোগিতা চান চৈতালি। শ্রাদ্ধশান্তি মিটলে কলকাতা গিয়ে নেত্রীর সঙ্গে দেখা করবেন তিনি। সেখানে তাঁর সমস্ত ভাবনা জানাবেন। তাঁর অটুট বিশ্বাস, মুখ্যমন্ত্রী পাশে দাঁড়ালে রহস্যের কিনারা হবে। খুনের কারণ এবং মূল ষড়যন্ত্রকারীরা সামনে না আসার ফলে তদন্তে সন্তুষ্ট হতে পারছেন না। তাঁর আশঙ্কা, বর্তমানে যাদের ধরা হচ্ছে, তাদের সামনে রেখে যাতে কোনওভাবে মূল মাথাকে না বাঁচানো হয়। তবে এই মুহূর্তে যতক্ষণ শ্রাদ্ধানুষ্ঠান সহ শাস্ত্রমতে বিভিন্ন কাজ সমাপ্ত হচ্ছে, ততক্ষণ তিনি বেশি কিছু ভাবতে পারছেন না। পরবর্তীতে মমতার সঙ্গে দেখা করে বাকি যেটা বলার তিনি বলবেন।
খুন কাণ্ডে এখনও পুলিশের জালে পাঁচজন। পুলিশি তদন্তে খুশি ? চৈতালির বক্তব্য, ‘দেখুন এখনও তো সন্তুষ্ট হওয়ার কথা নয়। যাদের ধরছে তাদের ধরুক। কিন্তু এদের পিছনে যে বা যারা মূল মাথা আছে, যাদের মস্তিষ্ক প্রসূত এই চক্রান্ত। তাদের দ্রুত ধরতে হবে। কাজ মিটলেই দিদির সঙ্গে দেখা করতে যাব।’
জেলা তৃণমূল সভাপতি আবদুর রহিম বক্সীর সাফ কথা, ‘আমাদের সুপ্রিমো থেকে শুরু করে সমস্ত জেলা তৃণমূল পরিবারের পাশে আছে। অবশ্যই তিনি যেতে পারেন নেত্রীর কাছে। আমরাও চাইছি, খুব দ্রুত তদন্তের কিনারা হোক।’