পুরাতন মালদা: রাতভর ভারী বৃষ্টির জেরে পুরাতন মালদা ব্লকের সাহাপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের বালা সাহাপুর নিম্ন বুনিয়াদি প্রাথমিক বিদ্যালয় কার্যত ভেসে গিয়েছে। বিদ্যালয়ের শ্রেণিকক্ষেও জল ঢুকে যায়। বিদ্যালয়ের চারপাশে রাস্তায় জলে থই থই অবস্থা। যে কারণে বুধবার ওই বিদ্যালয়ে পঠন-পাঠন ব্যাহত হয়েছে। বিদ্যালয়ের পড়ুয়ারা এক হাঁটু জল ডিঙিয়ে বিদ্যালয়ে প্রবেশ করে। শিক্ষক-শিক্ষিকাদেরও একই অবস্থা। ওই বিদ্যালয়ের ভেতর বাইরে জল দুর্ভোগের ছবি সামনে উঠে আসায় এলাকায় নিকাশি ব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, নিকাশি ব্যবস্থা নিয়ে পঞ্চায়েত প্রশাসন উদ্যোগী না নেওয়ায় এ ধরনের সমস্যা তৈরি হচ্ছে। যদিও বিষয়টি নিয়ে দ্রুত হস্তক্ষেপ দাবি করেছেন বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা। তাদের বক্তব্য, পঞ্চায়েত ও প্রশাসন বিদ্যালয়ের নিকাশি ব্যবস্থার দ্রুত হাল ফেরাক।
ওই বিদ্যালয়ে প্রায় ২১৬ জন পড়ুয়া রয়েছে। শিক্ষক-শিক্ষিকা ৮ জন । বিদ্যালয়ের ভেতরে জল ঢুকে যাওয়ায় এদিন মাত্র ৪১ জন পড়ুয়া এসেছিল। অনেকে জল দেখে ঘুরে চলে যায়। স্থানীয় বাসিন্দা সুশান্ত কুন্ডু বলেন, ‘ওই বিদ্যালয় প্রতিবছর বৃষ্টির জলে ডুবে থাকে। এলাকায় নিকাশির ব্যবস্থার জন্য কালভার্ট ছিল। কিন্তু সেটি বুজে যাওয়ায় এ ধরনের সমস্যা হয়েছে। আমরা প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।‘
এবিষয়ে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সুশীলচন্দ্র সরকার বলেন, বিদ্যালয়ের ভেতরে জল ঢুকে গিয়ে পঠন-পাঠনের সমস্যা হচ্ছে। সাপ-পোকামাকড়ের উপদ্রব বেড়েছে। পড়ুয়ারা আতঙ্কিত। আমরাও নিরাপদ নয়। আগেও এ ধরনের সমস্যা হয়েছিল। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি।‘ পুরাতন মালদার বিডিও সেঁজুতি পাল মাইতি বলেন, ‘বিদ্যালয়ের বিষয়টি আমার জানা আছে। নিকাশি সমস্যার কারণে এমন হয়েছে। তবে বিষয়টি সমাধানের জন্য পঞ্চায়েতকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।‘
সাহাপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান মাম্পিসাহা দাস বলেন, ‘আমরা ব্লক প্রশাসনের তরফে নির্দেশ পেয়েছি। তবে এই মুহূর্তে বড় নিকাশি ব্যবস্থা করা সম্ভব নয়। তবে আপাতত মেশিন দিয়ে জল বের করে দেওয়ার চেষ্টা চলছে। যাতে পড়ুয়াদের পঠন-পাঠনের কোনও সমস্যা না হয়।‘