বালুরঘাট: ২০২৬ সালে বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে বিজেপির বিধায়কদের বিরুদ্ধে বিষোদগার করে সোশ্যাল মিডিয়ায় একের পর এক পোস্ট চলছে। বালুরঘাটের বিজেপি বিধায়কের নামে “নিখোঁজ” পোস্ট করা হয়েছে। ড: অশোক লাহিড়ীর ছবি ব্যবহার করে নিখোঁজ পোস্টার বানিয়ে সেখানে এই বিধায়ককে একটিও ভোট না দেবার আবেদন জানানো হয়েছে। আরও একটি অ্যাকাউন্ট থেকে, বিধায়ক তহবিলের টাকায় বসানো সোলার লাইট খারাপ হয়ে যাওয়ার অভিযোগ তোলা হয়েছে। বালুরঘাটের বিধায়ক সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্টের বিষয়ে সাইবার ক্রাইম থানার দ্বারস্থ হবেন বলে এদিন বিধানসভা চত্বর থেকে জানিয়েছেন।
অন্যদিকে গঙ্গারামপুরের বিজেপি বিধায়ক সত্যেন্দ্রনাথ রায়ের বিরুদ্ধে রাতে তৃণমূল হয়ে যাবার অভিযোগ তুলে পোস্ট করা হয়েছে। সম্প্রতি বিজেপির সাংগঠনিক রদবদল শুরু হয়েছে। কয়েকদিন আগে গঙ্গারামপুরের বিধায়ক সত্যেন্দ্রনাথ রায় এই রদবদল নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় মুখ খুলেছেন। এবারে বিজেপি বিধায়কদের বিরুদ্ধে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করার পিছনে তৃণমূলের হাত রয়েছে নাকি বিজেপির দলীয় কোন্দল, তা নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে। সব মিলিয়ে রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের জেলার দলীয় বিধায়কদের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগকে কেন্দ্র করে এখন সরগরম জেলা রাজনিতি।
বালুরঘাটের বিধায়ক বিজেপির ড: অশোক লাহিড়ী। বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ, ভারত সরকারের অর্থনৈতিক উপদেষ্টা সহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিভাগে কাজ করেছেন তিনি। মূলত বর্তমানে দিল্লির বাসিন্দা অশোক বাবুকে এ রাজ্যে পালাবদল ঘটলে, সরকারে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব দিতে চেয়েছিল বিজেপি কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। তবে বিজেপি ক্ষমতায় না আসায় অশোক বাবু বিধায়ক হিসেবেই তাঁর দায়িত্ব সামলাচ্ছেন। বালুরঘাটের বাসিন্দা না হওয়ার কারণে পর্যাপ্ত পরিমাণ সময় দিতে না পারায় বিভিন্ন সময়ে প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়েছে দিল্লিবাসী অশোক লাহিড়ীকে।
এদিকে তৃণমূল থেকে বিজেপিতে যোগ দিয়ে বিধায়ক হওয়া গঙ্গারামপুরের বিধায়ক সত্যেন রায়কেও তৃণমূলের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলে চলছেন বলে অভিযোগ করা হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। তাহলে এর পেছনে শাসকদের তৃণমূল নাকি বিজেপির গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব তা নিয়ে উড়ছে একাধিক প্রশ্ন।