পঙ্কজ মহন্ত, বালুরঘাট: বালুরঘাট (Balurghat) থেকে কোচবিহার, রায়গঞ্জ থেকে জলপাইগুড়ি, মালদা থেকে দার্জিলিং। উত্তরবঙ্গের আট জেলার ২০০ প্রতিযোগীকে নিয়ে কুইজ প্রতিযোগিতায় কুইজ মাস্টার রূপে বালুরঘাটে এলেন জনপ্রিয় ক্যাকটাস ব্যান্ডের গায়ক সিধু। জানালেন নিজের অনুভূতির কথা। নতুন প্রজন্মের জন্য দিলেন বার্তা।
মুখার জেলা দক্ষিণ দিনাজপুর এবার মগজের লড়াই দেখল। কুইজ প্রতিযোগিতার শেষ দিন রবিবার রবীন্দ্র ভবনে ছিলেন ব্যান্ড তারকা সিদ্ধার্থশংকর রায় ওরফে সিধু। প্রতিযোগিতা এক রঙিন উৎসবের রূপ নেয় এদিন। দক্ষিণ দিনাজপুর (Dakshin Dinajpur) জেলা কুইজ অ্যাসোসিয়েশনের এই প্রতিযোগিতা এবার তৃতীয় বছরে পড়ল। এর আগে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকলেও এবছর কোচবিহার, জলপাইগুড়ি, দার্জিলিং, শিলিগুড়ি, রায়গঞ্জ, মালদা সহ বালুরঘাট ও গঙ্গারামপুর শহর থেকে দল করে প্রতিযোগীরা মগজের লড়াইয়ে নেমেছে। যেখানে প্রথম শ্রেণি থেকে ষষ্ঠ শ্রেণি পর্যন্ত টডলার বিভাগ, অনূর্ধ্ব-২৩ ও সকল বয়সিদের জন্য সাধারণ বিভাগ ছিল। এই কুইজ প্রতিযোগিতায় স্বচ্ছ ভারত মিশন সম্পর্কে বিভিন্ন প্রশ্ন রাখার ব্যবস্থা করেন জেলা শাসক। ক্রেতাদের সজাগ করার লক্ষ্যে ক্রেতা সুরক্ষা নিয়েও একাধিক প্রশ্ন ছিল এই প্রতিযোগিতায়।
মোবাইলের প্রতি নতুন প্রজন্মের ছেলেমেয়েদের আসক্তি নিয়ে সিধু বলেন, ‘ডিজিটাল মাধ্যমে গভীরভাবে আগ্রহ থাকার বিষয়টি খারাপ নয়। তবে কে কীভাবে তাকে ব্যবহার করছে, সেটাই দেখার। ডিজিটাল তথ্যভাণ্ডারকে ব্যবহার করে মগজাস্ত্র উন্নত হতে পারে। বুদ্ধিমত্তা বাড়াতে মোবাইল যথেষ্ট কার্যকরী। শুধু রুচিবোধ ঠিক করা দরকার।’
উদ্যোক্তাদের তরফে শুভ্র চক্রবর্তী বলেন, ‘বর্তমান যুবসমাজ অস্থির সময়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। ডিজিটাল যুগে ঠিকভুলের পার্থক্য করা মুশকিল হয়ে যাচ্ছে। ঠিক সেখানে কুইজ তাদের মগজাস্ত্রে শান দিতে কাজে আসছে।’
দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার কুইজ মাস্টার আকাশ চাকি বলেন, ‘বিনোদনের নামে বিপথে চালিত হচ্ছে অনেকে। আমরা তাদের বইমুখী করেছি। তার সঙ্গে ডিজিটাল পদ্ধতিতেও জ্ঞান আহরণের স্পৃহা তৈরি করেছি। প্রশ্নোত্তরের এই খেলায় জীবনের সমস্ত স্তরকে ছুঁয়ে যাচ্ছি।’
দার্জিলিং থেকে এসে কুইজ মাস্টার দীপ্তেন্দু তালুকদার বলেন, ‘সিধুকে সকলে গানের জগতের মানুষ হিসেবে চেনেন। তবে আমি আগে শুনেছিলাম তিনি কুইজ পাগল লোক। আজ তাঁকে কুইজ মাস্টার হিসেবে পেয়ে খুব ভালো লাগছে। তাঁর প্রশ্নগুলোও যথেষ্ট ভালো ছিল।’
ব্যান্ড তারকা সিধু বলেন, ‘কুইজের প্রতি আমার আসক্তি বহু বছরের। একাধিক টেলিভিশন চ্যানেলে কুইজ মাস্টার হিসেবে কাজ করেছি। তবে আজকের অনুভূতিটা ছিল অন্যরকম। কলকাতার বাইরে এসে বালুরঘাটে উত্তরবঙ্গের সব জেলার কুইজ মাস্টারদের এক ছাদের তলায় পেয়ে আমি আপ্লুত। সেখানে একটি রাউন্ড পরিচালনা করার গুরুত্বপূর্ণ কাজ করতে পেরেছি। যথেষ্ট যত্ন করেই প্রশ্নগুলো সাজিয়েছিলাম। এখানে কুইজের গুণগত মান যথেষ্ট উন্নত। রেডিও বা টেলিভিশনে সব জায়গাতেই কুইজের পরিমাণ দুর্ভাগ্যজনকভাবে কম।