বালুরঘাটঃ রাজ্যজুড়ে ভোট পরবর্তী হিংসা অব্যাহত। বালুরঘাটেও বিজেপির কিছু কর্মী-সমর্থক তৃণমূলের এক বুথ সভাপতিকে মারধর করেছে বলে অভিযোগ। এক তৃণমূল কর্মীর সাইকেলও নাকি ভেঙে দেওয়া হয়েছে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে বৃহস্পতিবার রাতে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে বালুরঘাট ব্লকের ডাঙ্গা গ্রাম পঞ্চায়েতের শিরোহী গ্রামের একটি বুথে।
বালুরঘাট কেন্দ্রে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার ফের সাংসদ নির্বাচিত হয়েছেন। উচ্ছ্বাসে মাতোয়ারা গেরুয়া বাহিনী। ভোটে হারলেও বালুরঘাট শহর লাগোয়া ডাঙ্গা পঞ্চায়েতের একটি বুথে লিড পেয়েছেন তৃণমূল প্রার্থী বিপ্লব মিত্র। এতে উচ্ছ্বসিত ওই বুথের ঘাসফুল শিবির। এনিয়ে আনন্দ করতে গিয়েই বিজেপির ক্ষোভের মুখে পড়তে হয় তৃণমূলের কর্মী-সমর্থকদের। অভিযোগ, লিড পাওয়ায় বাজি ফাটিতে আনন্দ করতে গিয়েছিলেন বুথ সভাপতি সহ তৃণমূল কর্মীরা। এনিয়ে বচসা বেধে যায় বিজেপি কর্মীদের সঙ্গে। তখনই তৃণমূলকর্মীদের মারধর করার অভিযোগ ওঠে বিজেপির বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় শুক্রবার বালুরঘাট থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন তৃণমূলের বুথ সভাপতি পরিতোষ সরকার। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছে বিজেপি। গোটা ঘটনার তদন্তে নেমেছে বালুরঘাট থানার পুলিশ।
২০১৮ সালে ডাঙ্গা গ্রাম পঞ্চায়েত প্রথমবার দখল করে বিজেপি। গত পঞ্চায়েত ভোটে তৃণমূল বিজেপির হাত থেকে ছিনিয়ে নেয় ওই পঞ্চায়েত। কিন্তু লোকসভা নির্বাচনে ওই গ্রাম পঞ্চায়েতে প্রায় ছ’হাজার ভোটে পিছিয়ে পড়ে। প্রায় সব বুথেই লিড পায় বিজেপি। মাত্র কয়েকটি বুথে সামান্য ভোটে লিড পায় তৃণমূল। তাই বৃহস্পতিবার রাতে বাজি ফাটানো হচ্ছিল।
পরিতোষ বলেন, ‘এবার ভোটে আমরা খুব পরিশ্রম করেছি। নিজেদের বুথে আমরা লিড নিয়েছি। তাই আমরা বাজি ফাটিয়ে আনন্দ করছিলাম। কয়েকজন সেখানে বাজি ফাটাতে বারণ করলে আমরা ফাঁকা জায়গায় চলে যাই। কিন্তু সেখানেও বিজেপির কয়েকজন এসে আমাদের মারধর করেছে। একজনের সাইকেল ভেঙে দিয়েছে। আমরা দলকে সব জানিয়েছি। থানাতেও অভিযোগ দায়ের করেছি।’
যদিও অভিযোগ মানতে নারাজ বিজেপি। দলীয় নেতা সুভাষ সরকার বলেন,‘এই ঘটনার সঙ্গে বিজেপির কেউ যুক্ত নয়। ওই পঞ্চায়েতে আমরা ব্যাপক লিড পেয়েছি। আমাদের প্রার্থীই জিতেছেন। আমরা কেন গোলমাল করব? রাতে পটকা ফাটানোয় মানুষের সমস্যা হচ্ছিল। তা নিয়ে স্থানীয় মানুষের সঙ্গে ওদের ঝামেলা হয়। তবে এই ঘটনার পিছনে তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দলও থাকতে পারে।’