বালুরঘাট: তৃণমূলের (TMC) গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে হাতিয়ার দণ্ডিকাণ্ড। ২০২৩ সালে ৩ আদিবাসী মহিলাকে বিজেপিতে যোগদান করার অপরাধে দণ্ডি কাটিয়ে পার্টি অফিসে নিয়ে এসে প্রায়শ্চিত্ত করিয়েছিলেন তৎকালীন জেলা মহিলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভানেত্রী প্রদীপ্তা চক্রবর্তী। সেসময় এই ঘটনায় রাজ্য সহ জেলার রাজনীতিতে ব্যাপক শোরগোল পড়ে যায়।
ঘটনার পরই অভিষেক জেলায় এসে প্রদীপ্তা চক্রবর্তীকে সমস্ত পদ থেকে অব্যাহতি দেন এবং দলের অনুষ্ঠানেও তাকে যেতে নিষেধ করা হয়। ইতিমধ্যে বালুরঘাট আদালতে রায়ে প্রদীপ্তা চক্রবর্তী নির্দোষ প্রমাণিত হয়েছেন। সময়ের সঙ্গে ধীরে ধীরে ফিকে হয়ে যেতে বসেছে দণ্ডীকাণ্ডের স্মৃতিও। কিন্তু হঠাৎই এদিন তৃণমূলের সক্রিয় কর্মী রাজা হেমব্রমের নেতৃত্বে আদিবাসী ঐক্যমঞ্চ বালুরঘাটে (Balurghat) দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা শাসকের দপ্তরের সামনে দণ্ডিকাণ্ড নিয়ে বিক্ষোভ দেখায়। বিক্ষোভকারীদের দাবি, দণ্ডিকাণ্ডে তৎকালীন মহিলা তৃণমূল জেলা সভানেত্রী প্রদীপ্তা চক্রবর্তীকে গ্রেপ্তার করতে হবে। আর এতেই প্রকট হয়ে উঠেছে জেলা তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের ছবি। তৃণমূলের দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা সহ সভাপতি মৃণাল সরকার জানান, তৃণমূল কর্মী হয়ে তৃণমূলের বিরুদ্ধে পথে নেমে বিক্ষোভ দেখানো ঠিক হয়নি। বিষয়টি তিনি দলকে জানিয়েছেন।