রূপক সরকার, বালুরঘাট: রোগীর হালহকিকত জানতে বা দেখা করতেও হাসপাতালের কর্মীদের দিতে হচ্ছে টাকা। এমনই গুরুতর অভিযোগ উঠল বালুরঘাট জেলা হাসপাতালের (Balurghat District Hospital) সিসিইউ বিভাগের কর্মীদের বিরুদ্ধে। বিষয়টি জানতে পেরেই কঠোর ব্যবস্থা নিল বালুরঘাট জেলা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
ইতিমধ্যেই সিসিইউ বিভাগের কর্মীদের রোস্টার করে ডিউটি দেওয়া হচ্ছে। আবার বেশ কয়েকজনকে অন্য বিভাগে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। পাশাপাশি সিসিইউ বিভাগে থাকা রোগীদের তথ্য এবার গুগল শিটের মাধ্যমে আপডেট দিচ্ছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। যার ফলে রোগী সহায়তাকেন্দ্রে খুব সহজেই রোগীর সম্পূর্ণ তথ্য পাবেন পরিবার পরিজনরা। এর পাশাপাশি সিসিইউ বিভাগের সামনে লাগানো হচ্ছে ডিসপ্লে বোর্ড। যেখানে থাকবে রোগীর কেস হিস্ট্রি। চলতি সপ্তাহে এইসব উদ্যোগ নিয়েছে বালুরঘাট জেলা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
এবিষয়ে রোগীর পরিজন মহাদেব সরকারের অভিযোগ, ‘আমার এক আত্মীয় সিসিইউতে ভর্তি ছিলেন। সেইসময় রোগীর অবস্থা কেমন রয়েছে তার খোঁজখবর পেতে খুব সমস্যায় পড়তে হয়েছিল। সেখানকার কর্মীরা টাকা চাইছিল। বিষয়টি আমি মৌখিকভাবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছিলাম।’
বালুরঘাট জেলা হাসপাতালের পুরোনো ভবনের তিনতলায় রয়েছে সিসিইউ বিভাগ। সেখানে প্রায় ২৪টি বেড রয়েছে। মুমূর্ষু রোগীদের উন্নত চিকিৎসার দেওয়ার জন্য সিসিইউতে রাখা হয়। সিসিইউ হাসপাতালের অন্য ওয়ার্ড থেকে সম্পূর্ণ আলাদা। এখানে বাইরের কাউকে সবসময় ভেতরে ঢুকতে দেওয়া হয় না। এই সুযোগের সদ্বব্যবহার করে পরিবারের কাছ থেকে রোগীর অবস্থা কেমন আছে তা জানার জন্য টাকা নেওয়া হয়৷ অভিযোগ, যার কাছে যেমন পায় তেমনভাবেই ১০০ বা ১৫০ টাকা নেওয়া হচ্ছিল।
বালুরঘাট জেলা হাসপাতাল সুপার কৃষ্ণেন্দুবিকাশ বাগ বলেন, ‘রোগীরা কেমন রয়েছে তা জানতে এবার ডিসপ্লে বোর্ড লাগানো হচ্ছে সিসিইউ বিভাগের সামনে। এছাড়াও রোগীর সব তথ্য গুগল শিটে দেওয়া হচ্ছে। যার ফলে কোনও কর্মীকে কিছু বলার প্রয়োজন নেই। রোগী সহায়তাকেন্দ্রে গেলেই সব জানতে পারবেন পরিবারের সদস্যরা। সিসিইউ বিভাগের কর্মী সহ হাসপাতালের আধিকারিকদের নিয়ে বৈঠক করা হয়েছে। সিসিইউ কর্মীদের মধ্যে কয়েকজনকে অন্যত্র স্থানান্তরিত করা হয়েছে। রোটেশন করে ডিউটি দেওয়া হচ্ছে।’