বালুরঘাট: কেন্দ্র সরকারের জাতীয় স্বাস্থ্য মিশনের তরফে জাতীয় গুণমান শংসাপত্র পেল উত্তরবঙ্গের মাত্র একটি পুর উপস্বাস্থ্য কেন্দ্র। কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দলের পরিদর্শনের পরে সমীক্ষার ফলাফলে বালুরঘাটের সাহেব কাছারি স্বাস্থ্য কেন্দ্রের স্কোর প্রায় ৯০ শতাংশ। ন্যাশনাল কোয়ালিটি অ্যাসুরেন্স স্টান্ডার্ড দপ্তরের তরফে এই পরিদর্শন করা হয়েছিল।
গত মাসের গোড়ার দিকে হঠাৎই বালুরঘাটে এসে পৌঁছায় জাতীয় সমীক্ষা দলের দুজন প্রতিনিধি। তারা পুরসভায় এসে স্বাস্থ্যকেন্দ্র পরিদর্শনের কথা জানান। দুদিন সকাল ৯টা থেকে প্রায় রাত ৯টা পর্যন্ত ১২ ঘণ্টা তারা বালুরঘাটের সাহেব কাছারি এলাকার উপস্বাস্থ্যকেন্দ্রের বিভিন্ন পরিষেবা খতিয়ে দেখেন। স্বাস্থ্যের গুণগত মান বিষয়ক বিশেষজ্ঞ দল স্বাস্থ্যকেন্দ্রের পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা ও পরিকাঠামো বিষয়টি খুঁটিয়ে দেখেন। তার সঙ্গে গত তিন বছরে স্বাস্থ্যকেন্দ্রের বিভিন্ন নথিপত্র তারা খতিয়ে দেখেন। এমনকি এখানে কী কী পরিষেবা দেওয়া হয়, তার গুণগত মান কেমন ও রোগীর সংখ্যা কেমন সেগুলিতে নজর দেন। তারা মূলত রোগী পরিষেবা, প্রয়োজনীয় ওষুধ প্রদান, স্বাস্থ্যকর্মীদের ব্যবহার ইত্যাদির ওপর গুরুত্ব দিয়েছিলেন। সেই নিরিখে তারা রিপোর্ট তৈরি করে ফিরে যান। যদিও যাবার সময় তারা স্বাস্থ্যকেন্দ্রের পরিষেবা নিয়ে সন্তুষ্টির কথা বলে যান। অবশেষে মঙ্গলবার বালুরঘাট পুরসভার কাছে ভারত সরকারের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ দপ্তরের তরফে চিঠি আসে। যেখানে পশ্চিমবঙ্গের ১২টি স্বাস্থ্যকেন্দ্র জাতীয় গুণমান শংসাপত্র পেয়েছে জানা যায়। যেখানে উত্তরবঙ্গের মধ্যে বালুরঘাটের সাহেব কাছারি স্বাস্থ্যকেন্দ্র শুধু স্থান পেয়েছে।
ওই স্বাস্থ্যকেন্দ্রের ফার্মাসিস্ট প্রীতম সরকার খুশির কথা জানান। তার মতে, ‘আমরা সর্বতোভাবে রোগীদের পরিষেবা দেওয়ার চেষ্টা করে চলেছি। বিভিন্ন প্রয়োজনে পুরসভা আমাদের পাশে দাঁড়িয়েছে। রোগীরাও এখান থেকে পরিষেবা পেয়ে খুশি হন। এই সাফল্যে আশা করছি স্বাস্থ্য পরিষেবা আরও উন্নত হবে।’
বালুরঘাট পুরসভার স্বাস্থ্য দায়িত্ব প্রাপ্ত এমসিআইসি বিপুলকান্তি ঘোষ বলেন, ‘এই শিরোপা লাভের ফলে ভারত সরকারের স্বাস্থ্য উন্নয়নের একাধিক সুবিধা পাব। উত্তরবঙ্গে আমরা একমাত্র এই তকমা পেয়েছি। ইতিমধ্যেই রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তরে পাশের জায়গায় উন্নত পরিকাঠামো গড়ে তোলার আবেদন জানিয়েছি।‘
বালুঘাটের পুরপ্রধান অশোক মিত্র জানান, এই স্বাস্থ্যকেন্দ্রে উন্নতমানের এক্স-রে, ইসিজি সহ বিভিন্ন স্বাস্থ্য পরীক্ষা হয়। অ্যালোপ্যাথির পাশাপাশি হোমিওপ্যাথি ডাক্তার রয়েছে। কেন্দ্রীয় সমীক্ষায় আমরা প্রায় ৯০ শতাংশ নম্বর পেয়েছি।’