সুবীর মহন্ত, বালুরঘাট: ভুয়ো চেকে বালুরঘাট পুরসভার ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা উধাও মামলায় ধৃতদের কলকাতা থেকে বালুরঘাট থানায় নিয়ে আসা হল। গত ১৮ নভেম্বর কলকাতার মুচিপাড়া থানার পুলিশ একটি জাতীয় স্তরের ভুয়ো চেক কেলেঙ্কারিতে ওই দু’জনকে গ্রেপ্তার করেছিল। তারা মণিপুর রাজ্য সরকারের চেক জালিয়াতিতে ধরা পড়েছিল। ওই অভিযুক্তরাই যে বালুরঘাট পুরসভার চেক কেলেঙ্কারিতে জড়িত, তদন্তে নেমে তা টের পায় পুলিশ। ধৃতদের একজন মহম্মদ ইশাক খান। এই ব্যক্তির অ্যাকাউন্টেই পুরসভার সাড়ে ১৪ লক্ষ টাকা ঢুকেছে বলে জানাচ্ছে পুলিশের একাংশ। ইশাক খানকে জিজ্ঞাসাবাদ করে ওয়াসিম আক্রাম নামে আরও একজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। যদিও তাদের পিছনের মাথাগুলি কারা, তা জানতে তদন্ত চালাচ্ছে পুলিশ। ধৃতদের শুক্রবারন আদালতে তোলা হলে বিচারক তাদের একদিনের পুলিশি হেপাজতের নির্দেশ দিয়েছেন বলে জানান সরকার পক্ষের আইনজীবী জয়ন্ত মজুমদার।
গত ১২ ও ১৩ নভেম্বর বালুরঘাট পুরসভার ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থেকে তিন দফায় ১৪ লক্ষ ৪০ হাজার ৬৮ টাকা গায়েব হয়ে যায়। ওই অ্যাকাউন্টে সরকারি প্রকল্পের টাকা ছিল। আচমকা টাকা গায়েবের ঘটনা নজরে আসতেই হইচই পড়ে যায় পুরসভায়। ব্যাংকে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, পুরসভার ইস্যু করা তিনটি চেকের ভিত্তিতে ওই টাকা গিয়েছে মহম্মদ ইশাক খান নামে এক ব্যক্তির অ্যাকাউন্টে। অথচ যে চেক নম্বরগুলি দিয়ে ওই টাকা লেনদেন হয়েছে, সেই তিনটি নম্বরের চেক সহ চেক বইটি বালুরঘাট পুরসভাতেই মজুত আছে।
এই ঘটনায় বালুরঘাট পুরসভা কর্তৃপক্ষ বালুরঘাট থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করে। তদন্তে নেমে দেখা যায়, তিনটি জাল চেকের মাধ্যমে মুচিপাড়া থানার একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকের শাখা থেকে তোলা হয়েছে টাকা। সেই ব্যাংক কর্তৃপক্ষ মুচিপাড়া থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করে। এরপরেই শুরু হয় খোঁজ। অবশেষে মুচিপাড়া থানার পুলিশ ওই দু’জনকে গ্রেপ্তার করে।
বালুরঘাট থানার আইসি শান্তিনাথ পাঁজা জানিয়েছেন, ‘ধৃতদের বালুরঘাটে আনা হয়েছে। ধৃতদের পুলিশি হেপাজতে নিয়ে তদন্ত শুরু করা হয়েছে।’