সুবীর মহন্ত, বালুরঘাট: বালুরঘাট নার্সিং হস্টেলে দুষ্কৃতী হানা রহস্যের উন্মোচন করল পুলিশ। তদন্তে নেমে পুলিশ গ্রেপ্তার করে বিট্টু দাস নামের এক তরুণকে। কিন্তু কেন সে নার্সিং হস্টেলে ঢুকেছিল, কী উদ্দেশ্য ছিল বিট্টুর, তা স্বীকার করতেই চমকে ওঠে পুলিশ। ধৃত বিট্টু পুলিশকে জানিয়েছে, তার লক্ষ্য ছিল নার্সিং পড়ুয়াদের অন্তর্বাস চুরি করা। বিট্টুকে আগে গ্রেপ্তার করা হলেও সোমবার রাতে গ্রেপ্তার করা হয় পাপ্পা রায় নামের অপর এক তরুণকে। পুলিশ জানতে পারে, বিট্টু যখন হস্টেলে ঢুকেছিল, পাপ্পা তখন বাইরে পাহারা দিচ্ছিল।
ধৃতদের কাছ থেকে নার্সিং হস্টেল থেকে খোয়া যাওয়া দুটি অন্তর্বাস ও সিসিটিভির ভাঙা অংশ উদ্ধার করা করেছে পুলিশ। ধৃতদের হেপাজতে নিয়ে পুলিশ জানতে পারে, নার্সিং হস্টেলের নিরাপত্তা ভেঙে ভিতরে ঢুকেছিল বিট্টু। মদ্যপ অবস্থায় থাকলেও প্রথমে সিসিটিভি ভেঙে তা চুরি করে এবং পরে ছাত্রীদের অন্তর্বাস নিয়ে পালিয়েছিল।
আরজি করের অভয়া কাণ্ডের পর এবারে বালুরঘাটে নার্সিং হস্টেলে বার বার এমন দুষ্কৃতী হানার ঘটনায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে ছাত্রীদের মধ্যে। বিশেষ করে ধৃতরা যে বিকৃত মনস্ক, তা জানতে পেরে পড়ুয়াদের মধ্যে আতঙ্ক আরও বেড়েছে। পুলিশ জানয়েছে, চকবাখর এলাকার বাসিন্দা তথা পলাতক পাপ্পা রায়কে গ্রেপ্তার করে বালুরঘাট আদালতে পাঠিয়েছে পুলিশ।
সরস্বতীপুজোর পরদিন সোমবার নার্সিং হস্টেলের সিসিটিভি ক্যামেরা ভেঙে ভিতরে ঢোকার চেষ্টার অভিযোগ ওঠে হাসপাতালে এক অ্যাম্বুল্যান্স চালকের বিরুদ্ধে। বিষয়টি পরদিন জানাজানি হতেই নার্সিং হস্টেলে অন্য সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে তাকে শনাক্ত করে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। বর্তমানে বিট্টু দাস নামে এক অভিযুক্ত জেল হেপাজতে রয়েছে। এই ঘটনার পর গত রবিবার রাতে ফের নার্সিং হস্টেলে দুষ্কৃতী ঢোকার চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে।
আরজি করের ঘটনার পর বালুরঘাট নার্সিং হস্টেল চত্বরে সিসিটিভি ক্যামেরা, আলোর ব্যবস্থা করা হয়েছে। গোটা নার্সিং হস্টেল চত্বর প্রায় ৭ ফিট উচ্চতার প্রাচীর দেওয়া রয়েছে। স্বভাবতই প্রশ্ন উঠেছে, তারপরও কী করে হাসপাতাল চত্বরে থাকা নার্সিং ট্রেনিং স্কুলের ভিতরে দুষ্কৃতীরা প্রবেশ করছে? সিসিটিভি ভাঙছে? বালুরঘাট থানার আইসি সুমন্ত বিশ্বাস বলেন, ‘নার্সিং হস্টেলের প্রথম ঘটনায় আরও একজনকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে। পাশাপাশি ধৃতদের কাছ থেকে অন্তর্বাস ও ভাঙা সিসিটিভি ক্যামেরার অংশ উদ্ধার করে আদালতে পেশ করা হয়েছে।’