বালুরঘাট: বালুরঘাট শহরে তৈরি হচ্ছে প্রতিমার বিভিন্ন সাজ। জেলার পর এবার বিভিন্ন জেলা, রাজ্যে ও প্রতিবেশী বাংলাদেশে বাড়ছে বালুরঘাটের প্রতিমার সাজের চাহিদা। বালুরঘাট শহরের নেপালিপাড়ার যুবক দেবজ্যোতি মোহরার। ইতিমধ্যে মুম্বই, দিল্লি সহ রাজ্যের একাধিক জেলা থেকে প্রতিমার সাজের বরাদ পাচ্ছেন এই যুবক। শুধুমাত্র ভিন রাজ্য বা ভিন জেলা নয় বালুরঘাট শহরেও তাঁর তৈরি প্রতিমার কদর বাড়ছে। প্রতিমার সাজের ক্ষেত্রে নতুন দিশা দেখাচ্ছে দেবজ্যোতি।
যেকোনও পুজোয় প্রতিমার সাজ প্রয়োজনীয়। প্রতিমার পাশাপাশি তার সাজ সঠিক না হলে প্রতিমার মৃন্ময়ী রূপ ফুটে ওঠে না। বালুরঘাটের মৃৎশিল্পীরা মূলত অন্য জেলার সাজই ব্যবহার করে থাকে। তবে গত কয়েক বছর থেকে দেবজ্যোতি মোহরার নিজে প্রতিমার সাজ তৈরি করছে। যা ইতিমধ্যে নজর কেড়েছে মৃৎশিল্পী থেকে পুজো উদ্যোক্তাদের। গতবার অল্প বরাত মিললেও এবার কালীপুজোইয় দূরদূরান্ত থেকে প্রতিমার সাজের বরাত পাচ্ছেন ওই যুবক। এদিকে প্রতিমার সাজে অন্যরাও উৎসাহ ও আগ্রহ দেখাচ্ছেন। আগামী দিনে উপার্জনের অন্যতম পেশা হতে পারে এই প্রতিমার সাজ তৈরি।
প্রতিমার সাজ তৈরিতে মূলত জড়ি, পুঁথি, বিভিন্ন সরঞ্জাম ব্যবহার করা হয়। সাজ তৈরির কাঁচামাল বাইরে থেকে এনে তা তৈরি করে বিক্রি করে। এখন তাঁর বাড়িতেই অর্ডার আসে। জেলার মৃৎশিল্পীরা যোগাযোগ করেন প্রতিমার সাজের জন্য। এবারে বালুরঘাট শহরের রামকৃষ্ণপল্লি স্পোর্টিং ক্লাবের কালীপুজোয় পুরো প্রতিমা সাজ তৈরি করেছেন দেবজ্যোতি।
এবিষয়ে দেবজ্যোতি মোহরার বলেন, ‘এখানে আগে বাইরে থেকে প্রতিমার সাজ আসত। আমার মাথায় সবসময় ঘুরত বাইরে কেন এলাকার লোক কেন এই ধরনের কাজ করছেন না! সেই জায়গা থেকে আমার এই প্রতিমার সাজ তৈরি করা। আগে শখে অল্প অল্প করে তৈরি করতে করতে এখন অনেক পরিমাণে প্রতিমার সাজ তৈরি করছি। এখন বালুরঘাট নয় কলকাতা, শিলিগুড়ি, ঝাড়খণ্ড, দিল্লি ও মুম্বইয়ে আমার সাজ যায়। এবার প্রতিবেশী বাংলাদেশেও আমার তৈরি সাজ গেছে। আস্তে আস্তে অনেকেই এই শিল্পে আসবে বলেই আমি মনে করি।‘