উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্ক: জুলাই-অগাস্টে ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময় হাসিনা সরকারের পুলিশের গুলিতে বেশ কয়েকজনের মৃত্যু হয়। পালাবদলের পর এবার সেই ‘ট্রিগার হ্যাপি’ পুলিশকে নিষ্ক্রিয় করার চেষ্টা শুরু হল বাংলাদেশে (Bangladesh)। পুলিশের গুলি চালানো ঠেকাতে একগুচ্ছ প্রস্তাব জমা দিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকারের তৈরি করা পুলিশ সংস্কার কমিশন। বিক্ষোভ দমনে পুলিশের বলপ্রয়োগ এবং গুলি চালানো বন্ধ করতে এই উদ্যোগ বলে সরকারের তরফে জানানো হয়েছে। রাষ্ট্রসংঘের শান্তিবাহিনীর আচরণবিধি এবং ১৯৪৩-এর পুলিশ আইনের সঙ্গে সংগতি রেখে বিক্ষোভ মোকাবিলায় পুলিশকে ৫টি ধাপ অনুসরণের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।
শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভে বলপ্রয়োগ করতে পারবে না পুলিশ। অশান্তি ছড়ালে বা ভাঙচুর হলে তবেই সক্রিয় হবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাবাহিনী। জনতার সঙ্গে নিরাপদ দূরত্ব বজায় রেখে বিক্ষোভ ঠেকানোর চেষ্টা করতে হবে পুলিশকর্মীদের। বন্দুকের ব্যবহার বাদে অন্যান্য কৌশলে (যেমন-জলকামান, কাঁদানে গ্যাস, সাউন্ড গ্রেনেড, পেপার স্প্রে, শটগান, বৈদ্যুতিন পিস্তল ব্যবহার করে) জনতাকে ছত্রভঙ্গ করার চেষ্টা করতে হবে। এতেও কাজ না হলে তবেই আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার করা যাবে। সেক্ষেত্রে প্রাণহানি এড়ানোর চেষ্টা করতে হবে নিরাপত্তা বাহিনীকে। একমাত্র আত্মরক্ষা বা সরকারি সম্পত্তি ধ্বংস হওয়া ঠেকাতেই একসঙ্গে গুলি চালাতে পারবেন পুলিশকর্মীরা।