উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্ক: কয়েক মাস আগেই ছাত্র-জনতার আন্দোলনের জেরে অশান্ত হয়ে উঠেছিল বাংলাদেশ (Bangladesh)। প্রবল বিক্ষোভের মুখে পড়ে গত ৫ অগাস্ট শেষ অবধি প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দেন শেখ হাসিনা (Sheikh Hasina)। এরপরই বাংলাদেশে গঠিত হয়েছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার (New interim government)। যার প্রধান উপদেষ্টার দায়িত্বে রয়েছেন নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ মুহাম্মদ ইউনূস (Muhammad Yunus)। কিন্তু এবারে জনগণের বিক্ষোভের মুখে পড়ল ইউনূস সরকারও। জানা গিয়েছে, সোমবার সেদেশে সরকারি চাকরির বয়সসীমা ৩১ থেকে বাড়িয়ে ৩৫ বছর করার দাবিতে ঢাকার রাজপথে নামে আন্দোলনকারীরা।
সূত্রের খবর, সোমবার সকালে প্রথমে ঢাকার (Dhaka) শাহবাগে অবস্থিত জাতীয় জাদুঘরের সামনে জড়ো হন আন্দোলনকারীরা। এরপর সেখান থেকে তাঁরা মিন্টো রোডে অবস্থিত প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন ‘যমুনা’র (Jamuna) দিকে এগোতে শুরু করেন। কিন্তু প্রধান উপদেষ্টার বাসভবনের সামনে কোনও রকম সমাবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল বাংলাদেশের পুলিশ। কিন্তু তা সত্বেও সেই নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে আন্দোলনকারীরা ‘যমুনা’ প্রাঙ্গণ দখল করার চেষ্টা করে। বিক্ষোভ মিছিলটি এগোতে থাকলে এলাকায় মোতায়েন পুলিশকর্মীরা আন্দোলনকারীদের বাধা দেওয়ার চেষ্টা করে। সেই সময়ই দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ ও ধস্তাধস্তির ঘটনা ঘটে। আন্দোলনকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে কাঁদানে গ্যাসের শেল ও রবার বুলেট নিক্ষেপ করে পুলিশ। যদিও সন্ধ্যায় উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম ও আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়ার সঙ্গে দীর্ঘক্ষণ আলোচনায় বসে আন্দোলনকারীদের একটি প্রতিনিধিদল। এবং তাঁদের দাবি খতিয়ে দেখার যাবতীয় আশ্বাসও দেওয়া হয়। এরপরই প্রধান উপদেষ্টার বাসভবনের সামনে থেকে অবস্থান কর্মসূচি তুলে নেন আন্দোলনকারীরা। এর পরিবর্তে শাহবাগে জাতীয় জাদুঘরের সামনে শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করা হবে বলে জানান তাঁরা।
যদিও সরকারি চাকরিতে বয়সসীমা বাড়ানোর দাবিতে বাংলাদেশে বিক্ষোভ এই প্রথম নয়। এর আগে শেখ হাসিনার শাসনকালেও এই দাবিতে বেশ কয়েকটি আন্দোলন হয়েছিল। কিন্তু তৎকালীন সরকার সেই দাবি প্রত্যাখ্যান করে দেয়। কিন্তু তারপর বাংলাদেশের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট অনেকটা পালটে গিয়েছে। ক্ষমতায় এসেছে নয়া সরকার। তা সত্বেও যে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি এখনও স্বাভাবিক হয়নি তা কার্যত স্পষ্ট।