বাগডোগরা: বাগডোগরার অদূরে ব্যাংডুবি সেনা ছাউনির কাছ থেকে এক বাংলাদেশী (Bangladeshi Citizen) নাগরিককে গ্রেপ্তার করল পুলিশ। এদিন আশরাফুল আলম (৫০) নামে ওই বাংলাদেশী নাগরিককে সেনাবাহিনী আটক করে বাগডোগরা পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছে। ধৃত ব্যক্তি জেরায় বিভ্রান্তিকর কথা বলছেন বলে জানাচ্ছেন তদন্তকারীরা। নিজেকে বাংলাদেশের গোয়েন্দা সংস্থার প্রাক্তন কর্মী বলে দাবি করেছে আশরাফুল। জানা গেছে, বাগডোগরার অদূরেই রয়েছে ব্যাংডুবি সেনা ছাউনি। এখানে রয়েছে সিক্সটিন এফওডি ও ফাইভ এফওডি-র মতো অস্ত্র এবং গোলা বারুদের ডিপো।
সেনা ছাউনির কাছেই রয়েছে একটি গ্রাম নাম এমএম তরাই। সেখানেই সন্দেহজনক ভাবে ঘোরাঘুরি করছিলেন ওই ব্যক্তি। ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে যখন উত্তেজনাকর পরিস্থিতি চলছে তখন এই ব্যক্তির আচরন সন্দেহজনক ঠেকে নিরাপত্তাবাহীনির। পুলিশ, রাজ্য ও কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা, সেনা গোয়েন্দারা দফায় দফায় জেরা করছে ধৃতকে। তাঁকে জেরা করতেই সন্দেহ আরও জোরদার হয়। জেরায় একেক বার একেক রকম বয়ান দিচ্ছিলেন ওই ব্যক্তি। ধৃত কখনও জানিয়েছে, সে বাংলাদেশ থেকে অবৈধভাবে সীমান্ত পেরিয়ে ৪-৫ মাস আগে ভারতে ঢুকেছে, আবার কখনও জানিয়েছে ৪-৫ দিন আগে এই দেশে এসেছে।
বাড়ি বাংলাদেশের রংপুরের বাঁদরগঞ্জ থানায়। কাজের খোঁজে সীমান্তে এলে মাঝিরা তাকে নদী পার করে দেয় বলে জানিয়েছে সে। তারপরই সে ভারতে ঢুকে পরে। তবে কোন সীমান্ত দিয়ে সে ভারতে ঢুকেছে সে সম্পর্কে কিছু বলছে না ওই ব্যক্তি। এতদিন কোথায় ছিল তাও জানাতে পারেনি সে। হাঁটতে হাঁটতেই ব্যাংডুবিতে চলে এসেছে বলে জানিয়েছে আশরাফুল। জেরায় সে জানায়, ময়নামতির গোয়েন্দা সংস্থায় কাজ করত ওই ব্যক্তি। বাড়িতে ৫ সন্তান রয়েছে। তবে স্ত্রী নেই।
ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধকালীন পরিস্থিতির প্রেক্ষিতে কয়েকদিন থেকেই বাগডোগরা বায়ুসেনা ঘাঁটি, বাগডোগরা বিমানবন্দর, ব্যাংডুবি সেনা ছাউনি, সুকনা সেনা ছাউনি সহ সমস্ত সামরিক ঘাঁটিগুলিতে লাল সতর্কতা জারি করা হয়েছে। দফায় দফায় বৈঠক চলছে। চার দিকের গ্রামের বাসিন্দা ও জনপ্রতিনিধিদের জানানো হয়েছে বাইরের সন্দেহজনক লোকজন দেখা মাত্র পুলিশ অথবা সামরিক বিভাগকে জানাতে। শুক্রবার দুপুরে এই বাংলাদেশী নাগরিক ব্যাংডুবি সেনা ছাউনির ফাইভ এফওডি অর্থাৎ ফিল্ড অ্যামুনিশন ডিপোর চারদিকে ঘোরাঘুরি করছিলেন। এরই মধ্যে পাশের গ্রাম এমএম তরাইয়ে গিয়ে জল চাইতেই স্থানীয় বাসিন্দারা তাকে সেনা পুলিশের হাতে তুলে দেন। সেনাবাহিনীর তরফে বাগডোগরা থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।