আলিপুরদুয়ার, ২৪ জানুয়ারি: রাহুল গান্ধির ভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রা ফালাকাটায় আসার আগে চওড়া হচ্ছে কংগ্রেসের ফাটল। দলের জেলা সভাপতি মণিকুমার দার্নাল ও দলের জেলা কার্যনির্বাহী সভাপতি শান্তনু দেবনাথের অনুগামীদের মধ্যে রীতিমতো বাগযুদ্ধ শুরু হয়ে গিয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়াতেও সমালোচনার ঝড় বইছে। এমনিতেই আলিপুরদুয়ারে কংগ্রেসের সাংগঠনিক ভিত খুব একটা শক্তপোক্ত নয়। তারমধ্যে রাহুলের সফরের আগে দুই গোষ্ঠীর কোন্দল মাথাচাড়া দেওয়ায় দলের জেলা নেতারা অনেকেই তা ভালো চোখে দেখছেন না। তাঁরা বলছেন, এমনটা চললে লোকসভা ভোটে দলের পক্ষে ভালো ফল করা মুশকিল।
মণিকে নিয়ে বিরোধী গোষ্ঠীর অভিযোগ, তিনি নাকি সাংগঠনিক কাজকর্মে অবৈধ হস্তক্ষেপ করছেন। এমন অভিযোগ উঠছে কেন? কারণ, প্রায় দু’বছর আগে মণিকুমার দলের জেলা সভাপতির পদ থেকে অব্যাহতি চেয়ে এআইসিসির কাছে ইস্তফাপত্র পাঠিয়েছিলেন। তাই এখন তাঁর ‘ব্যস্ততাকে’ কেন্দ্র করে চর্চা চলছে। যদিও দলের শীর্ষ নেতৃত্ব সেই ইস্তফা গ্রহণ করেনি বলে জানিয়েছেন মণি নিজেই। তিনি বলেন, ‘দলের নির্দেশেই জেলা সভাপতি হিসেবে এখনও সাংগঠনিক কাজকর্ম করছি। ফালাকাটায় ন্যায় যাত্রাকে কেন্দ্র করে সব আয়োজনও করেছি। দলের শীর্ষ নেতৃত্বের নির্দেশ মেনেই জেলা সভাপতি হিসেবেই সংগঠনের দায়িত্ব পালন করতে হচ্ছে।’ কেন দু’বছর আগে ইস্তফা দিয়েছিলেন? সে প্রশ্নের উত্তর এড়িয়ে গিয়েছেন মণি।
এখন মণির এই সক্রিয়তায় পরোক্ষে ক্ষোভপ্রকাশ করেছেন কংগ্রেসের জেলা কার্যনির্বাহী সভাপতি শান্তনু। বলেন, ‘গত পুরসভা ভোট, পঞ্চায়েত ভোটে জেলার সমস্ত সাংগঠনিক কাজকর্ম আমাকে করতে হয়েছে। তখন কোথায় ছিলেন জেলা সভাপতি? দলের নেতা-কর্মী সকলেই সেটা জানতে চায়। একজন পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার পর তার সেই পদের দাবিদার হওয়াটা কি মানায়?’
ন্যায় যাত্রা আসার আগে মণির অতিসক্রিয় ভূমিকায় প্রচণ্ড ক্ষুব্ধ যুব কংগ্রেসের জেলা সভানেত্রী সানিয়া বর্ধনও। তিনি বলেন, ‘গত পঞ্চায়েত ও পুর নির্বাচনে তাঁকে একদিনও দলের জেলা কার্যালয়ে আসতে দেখা যায়নি।’ সানিয়ার দাবি, শান্তনুর নেতৃত্বেই নাকি পঞ্চায়েত ও পুরভোট হয়েছে। তাহলে এখন মণি কেন দলের কাজে হস্তক্ষেপ করছেন, প্রশ্ন তাঁর।
কংগ্রেসের যুব নেতা সুব্রত সাহা কটাক্ষ করে বলেন, ‘গত পঞ্চায়েত ভোটে নিজের বুথেই যার সক্রিয়তা দেখা যায়নি, তিনি রাহুল গান্ধির সফরের আগে সক্রিয় হয়ে উঠেছেন।’
যদিও জেলা কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক ত্রিদিবেশ তালুকদার জেলা সভাপতির পাশে দাঁড়িয়েছেন। তিনি বলেন, ‘মণি কোনও এক সময় এআইসিসিতে ইস্তফা পাঠিয়েছিলেন। কিন্তু শীর্ষ নেতৃত্ব তা গ্রহণ করেনি। এমনকি অন্য কাউকেও জেলা সভাপতির দায়িত্ব দেয়নি। তাই তিনিই এখনও দলের জেলা সভাপতির দায়িত্বে রয়েছেন।’ অহেতুক এই ইস্যু নিয়ে দলের মধ্যে ঘোঁট না পাকিয়ে লোকসভা ভোটের আগে দলকে শক্তিশালী করার দিকে সকলের মনোযোগ দেওয়া উচিত। মন্তব্য ত্রিদিবেশের। একই কথা দলের জেলা সহ সভাপতি শ্যামল রায়েরও।
অমিত্রসূদন ভট্টাচার্য বিনোদিনী দাসী লিখেছিলেন, ‘বঙ্কিমবাবু মহাশয় নিজে বলিয়াছিলেন যে- আমি মনোরমার চিত্র পুস্তকেই লিখিয়াছিলাম,…
আশিস ঘোষ নৈতিকতা। ছোট্ট কিন্তু প্রচণ্ড ভারী একটা শব্দ। এ যুগে অতি বিরল। খুঁজেপেতে বের…
উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্ক: এবারের টি২০ বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্ব থেকেই বিদায় নিয়েছে পাকিস্তান। কানাডা, আয়ারল্যান্ডের…
পূর্ণেন্দু সরকার, জলপাইগুড়ি: কালিম্পং পাহাড়ের নেওড়াভ্যালি জাতীয় উদ্যানকে (Neora Valley National Park) বাড়তি গুরুত্ব দিতে…
উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল: বুধবার সকালে হুলুস্থুল কাণ্ড স্টেশন চত্বরে। চলন্ত ট্রেন থেকে উদ্ধার হল ব্যাগবন্দি…
This website uses cookies.