সরাসরি কর্ণাটক নির্বাচনের ফলাফল
মোট আসনঃ ২২৪
কংগ্রেসঃ ১৩১ আসনে এগিয়ে
বিজেপিঃ ৬৬ আসনে এগিয়ে
জেডিএসঃ ২২ আসনে এগিয়ে
অন্যান্যঃ ৫ আসনে এগিয়ে
উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্কঃ গত ১০ মে কর্ণাটকের ২২৪টি আসনে অনুষ্ঠিত হয়েছে বিধানসভা নির্বাচনের ভোট গ্রহন। আজ শুরু হয়েছে ভোট গণনা। বিজেপিকে পেছনে ফেলে ইতিমধ্যেই অনেকটাই এগিয়ে রয়েছে কংগ্রেস। একনজরে দেখে নেওয়া যাক কোন কোন হেভিওয়েট প্রার্থী এগিয়ে বা পিছিয়ে রয়েছেন।
যে সমস্ত প্রার্থীরা নজর কাড়ছেন তাঁদের মধ্যে অবশ্যই মুখ্যমন্ত্রী তথা বিজেপি প্রার্থী বাসবরাজ বোম্মাই। সঙ্গে বিজেপির আর অশোক, বিজেপি সাধারণ সম্পাদক আর রবির ওপরও নজর থাকবে। কংগ্রেসের ডিকে শিবকুমার ও সিদ্দারামাইয়া রয়েছেন। এছাড়াও জেডিএসের এইচ ডি কুমারস্বামীও রয়েছেন লড়াইতে। প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ইয়েদুরাপ্পার পুত্র লড়ছেন এবারে। এদিকে কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুনের ছেলে প্রিয়াঙ্ক খাড়গেও লড়ছেন।
বাসবরাজ বোম্মাই – শিগ্গাওঁঃ ইনি কর্ণাটকের বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী। ২০০৮ সাল থেকে বিধানসভা নির্বাচনে লড়ছেন এই আসন থেকে। এবার চতুর্থবারের জন্য এই আসনে জিততে চাইছেন তিনি। বোম্মাই কংগ্রেস প্রার্থী মহম্মদ ইউসুফ সাভানুরের বিরুদ্ধে লড়ছেন। তিনি এগিয়ে আছেন এই আসন থেকে।
প্রিয়াঙ্ক খাড়গে – চিত্তরপুর: এগিয়ে রয়েছেন কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গের ছেলে প্রিয়াঙ্ক খাড়গে। এবার তিনি লড়ছেন বিজেপির মণিকান্ত রাঠোর এবং জেডিএস-এর সুভাষচন্দ্র রাঠোরের বিরুদ্ধে। ২০১৮ সালে এই আসন থেকেই নির্বাচিত হয়ে বিধায়ক হয়েছিলেন প্রিয়াঙ্ক। তবে সেই ব্যবধান ছিল মাত্র ৪ হাজার।
সিদ্দামাইয়া – বরুণ: বরুণ আসন থেকে লড়ছেন কংগ্রেস নেতা তথা কর্ণাটকের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া। তিনি আটবারের বিধায়ক। এর আগে বরুণ আসন থেকে দু’বার লড়ে জয়ী হয়েছেন তিনি। এবার সিদ্দারামাইয়া বিজেপির ভি সোমান্না এবং জেডি(এস)-এর প্রাক্তন বিধায়ক ভারতী শঙ্করের বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। সিদ্দারামাইয়া এই আসন থেকে এগিয়ে রয়েছেন।
ডিকে শিবকুমার – কনকপুরা: এগিয়ে কংগ্রেসের প্রদেশ সভাপতি ডিকে শিবকুমার। কনকপুরা কেন্দ্রে তিনি কঠিন লড়াইয়ের সম্মুখীন। তাঁর বিরুদ্ধে লড়ছেন বিজেপির ভোক্কালিগা ‘মুখ’ আর অশোক। শিবকুমার নিজেও ভোক্কালিগা। এর আগে এই কনকপুরা আসন থেকে তিনবার বিধায়ক নির্বাচিত হয়েছেন শিবকুমার।
এইচডি কুমারস্বামী – ছন্নাপতনা: এগিয়ে রয়েছেন জেডিএস নেতা তথা দু’বারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী এইচডি কুমারস্বামী। তার মূল প্রতিদ্বন্দ্বী হলেন বিজেপির সিপি যোগেশ্বর।এই আসনে প্রথমে পিছিয়ে পড়লেও এখন এই আসনে এগিয়ে রয়েছেন এইচডি কুমারস্বামী।
জগদীশ শেট্টার – হুবলি-ধারওয়াড় সেন্ট্রাল: পিছিয়ে রয়েছেন উত্তর কর্ণাটকের আসন থেকে কংগ্রেসের টিকিটে লড়ছেন আরএসএস ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত জগদীশ শেট্টার। বিজেপির লিঙ্গায়েত নেতাদের মধ্যে অন্যতম মুখ ছিলেন তিনি। সেই জগদীশই এবার টিকিট না পেয়ে দল ছেড়ে কংগ্রেসে যোগ দিয়েছিলেন।
সিটি রবি – চিকমাগালুর: পিছিয়ে রিয়েছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক সিটি রবি। চিকমাগালুর আসন থেকেই চারবারের বিধায়ক। তিনি প্রাথমিক গণনায় পিছিয়ে পড়েছেন নিজের গড় থেকেই।
নিখিল কুমারস্বামী – রামনগর: ২০১৯ সালে নির্বাচনী রাজনীতিতে পা দিয়েছিলেন এইচডি কুমারস্বামীর ছেলে তথা প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী দেবে গৌড়ার নাতি নিখিল। তবে বিজেপি সমর্থিত নির্দলের কাছে হেরেছিলেন। এবার ২০২৩ সালে বিধানসভা নির্বাচনে নিজের খালা খোলার সুযোগ তাঁর সামনে।
বিওয়াই বিজয়েন্দ্র – শিকারিপুরা: কর্ণাটকের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বিএস ইয়েদুরাপ্পার ছেলে বিওয়াই বিজয়েন্দ্র লড়ছেন পরিবারের গড় হিসেবে পরিচিত শিকারিপুরা আসন থেকে। এটি শিবমোগ্গা জেলায় অবস্থিত। তাঁর বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন জেডিএস-এর সুধাকর শেট্টি এবং কংগ্রেসের এসবি নাগরাজ গৌড়া।