উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্ক: কখনও গরম পড়ছে, আবার কখনও বৃষ্টির জেরে ঠান্ডা হয়ে যাচ্ছে আবহাওয়া। আর এই ধরনের আবহাওয়াতেই শরীর বেশি অসুস্থ হয়। তাই এ সময়ে শরীর সুস্থ রাখতে দইয়ের কোনও জুড়ি নেই। তবে দই পাতার সময় কয়েকটি কিশমিশ মেশালে সেটির উপকারিতা আরও বেড়ে যায় (Tips)।
কীভাবে বানাবেন এটি?
প্রথমে একটি বাটিতে গরম দুধ নিন। এবার তার মধ্যে চার থেকে পাঁচটি কিশমিশ দিয়ে দিন। এরপর সামান্য দই দুধ-কিশমিশের মিশ্রণে দিয়ে ভালো করে ফেটিয়ে নিন। লক্ষ রাখবেন যেন পাত্রের সারা গায়ে দইয়ের মিশ্রণ ভালো করে লেগে যায়। তারপর ঈষদুষ্ণ দুধ দিয়ে হালকা করে মিশিয়ে নিয়ে পাত্রটি একটি ঢাকনা দিয়ে ঢেকে রাখুন। আট থেকে ১২ ঘণ্টা লাগবে দই জমতে। এই সময়ে একেবারেই বাটি নড়াচড়া করা চলবে না।
এটি খেলে কী কী উপকার মিলবে?
১. একটু বয়স বাড়লেই গাঁটের ব্যথায় ভোগেন অনেকেই। এক্ষেত্রে নিয়মিত খাদ্যতালিকায় দই-কিশমিশ রাখতে পারেন। বাতের ব্যথায় উপশম পাবেন।
২. সদ্য দুর্গাপুজো কেটেছে। এই সময় পেটের সমস্যায় অনেকেই ভুগছেন। কিশমিশ মেশানো দই শরীর থেকে খারাপ ব্যাকটিরিয়া দূর করে আর হজমে সাহায্যকারী ভালো ব্যাক্টেরিয়া তৈরি করে। ফলে পেট ভালো থাকে। নিয়মিত খাদ্যতালিকায় এই দই রাখলে বদহজম এবং অম্বলের সমস্যা থেকে রেহাই পাওয়া যায়।
৩. ঋতুঃস্রাবের সময়ে অনেকেই পেটের ব্যথায় কষ্ট পান। এই সমস্যায় উপশম পেতে পারেন দই-কিশমিশের মিশ্রণ খেলে।
৪. চুলের রুক্ষতা দূর করতে, পাকা চুলের সমস্যা দূর করতেও ডায়েটে কিশমিশ-দই রাখতে পারেন। গরমে ত্বকে অ্যালার্জির সমস্যা হলেও এই দই খেয়ে দেখতে পারেন।
৫. এই মিশ্রণ রক্তে খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায়। রক্তচাপও নিয়ন্ত্রণে রাখে।

