কোচবিহার: হাতে আর দু’দিন। তারপরই আতশবাজির ঝলকানি এবং রকমারি আলোয় রঙিন হবে চারদিক। দিন এগিয়ে আসায় জোর প্রস্তুতি চলছে কুমোরটুলির পাশাপাশি পুজো প্যান্ডেলগুলিতেও। দম ফেলার ফুরসত নেই পুজো উদ্যোক্তাদের। কোচবিহারে বিগ বাজেটের দুর্গাপুজো হলেও পিছিয়ে নেই কালীপুজোও। তবে শহরের কয়েকটি ক্লাবে দুর্গাপুজো না হলেও প্রতিবারই তারা নিয়মনিষ্ঠা মেনে কালীপুজোর আয়োজন করে। সেগুলোর মধ্যে অন্যতম নেতাজি সংঘ এবং পামতলা ইউনিট।
শহরের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের সিলভার জুবিলি রোড সংলগ্ন এলাকায় অবস্থিত নেতাজি সংঘ। জাঁকজমকপূর্ণ কালীপুজো করার ব্যাপারে তাদের সুনাম ৭২ বছরের। ক্লাব কর্মকর্তারা জানালেন, এবারে পুজোর প্রধান আকর্ষণ ভূতবাংলো। ক্লাব সংলগ্ন শিববাড়ির মাঠে ইতিমধ্যে জোরকদমে কাজ করছেন কয়েকজন শিল্পী। পুজোর বাজেট ধরা হয়েছে প্রায় ৮ লক্ষ টাকা। সাবেকি দেবীমূর্তি পুজোর অন্যতম আকর্ষণ। ক্লাব সংলগ্ন রাস্তাজুড়ে থাকবে চন্দননগরের আলোকসজ্জা। প্রতিবারের মতো এবারও ক্লাবঘরে নিয়ম মেনে পুজো করা হবে বলে উদ্যোক্তারা জানান। আয়োজন করা হবে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান এবং কুইজ কম্পিটিশনের।
পুজো কমিটির সম্পাদক মানিক সাহা বললেন, ‘বুধবার শোভাযাত্রার মধ্যে দিয়ে কাকড়িবাড়ি থেকে প্রতিমা নিয়ে আসা হবে। শহরেও প্রতিমা নিয়ে র্যালি বের হবে। শোভাযাত্রায় বিশেষ আকর্ষণ হিসেবে থাকবে ঢাকিদের বিশেষ দল।’ অপরদিকে, শহরের পামতলা ইউনিটের পুজো এবার ৬৮তম বর্ষে পদার্পণ করবে। কাল্পনিক মন্দিরের আদলে তারা মণ্ডপসজ্জার কাজ ইতিমধ্যে শুরু করে দিয়েছে। উদ্যোক্তারা জানান, নিয়মনিষ্ঠার পাশাপাশি ডাকের সাজের প্রতিমা পুজোর মূল আকর্ষণ। পুজোকে কেন্দ্র করে দু’দিনের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করছেন উদ্যোক্তারা। পুজো কমিটির তরফে অশোকতরু তালুকদার বলেন, ‘পুজোয় প্রতিবছর প্রসাদ বিতরণ এবং বহিরাগত শিল্পীদের দিয়ে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এবারেও তার অন্যথা হবে না।’