হরিশ্চন্দ্রপুর: লক্ষ্মী গেল অন্যের ঘরে! ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার’ নিয়ে এবার বড়সড়ো দুর্নীতির অভিযোগ উঠল। লক্ষ্মীর ভাণ্ডারে একজনের নাম থাকলেও, টাকা অন্য অ্যাকাউন্টে ঢুকছে বলে অভিযোগ। নাম মিললেও মিলছে না অ্যাকাউন্ট নম্বর এবং আইএফসি কোড। শুধু এক বা দু’জন নয় হরিশ্চন্দ্রপুর ২ এর অর্জুনা গ্রামের প্রায় শতাধিক মহিলা এমন অভিযোগ এনেছেন। সিএসপি’তে গিয়ে ব্যাংকের স্টেটমেন্ট চেক করতেই সামনে আসে এই তথ্য। কিন্তু কীভাবে এই ভুল হল, প্রশ্ন তুলেছেন উপভোক্তারা। ব্লকে যাঁরা এই কাজের সঙ্গে যুক্ত, তাঁরাই দুর্নীতি করছে বলে অভিযোগ উপভোক্তাদের।
মহিলাদের অভিযোগ, তাঁরা লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের জন্য আবেদন করেছিলেন। চালুও হয়েছিল। কিন্তু টাকা ঢুকছে না অ্যাকাউন্টে। তালিকায় নাম রয়েছে। কিন্তু অ্যাকাউন্ট নম্বর দেওয়া রয়েছে অন্য। আর সেই অ্যাকাউন্টে টাকা ঢুকে যাচ্ছে। অর্থাৎ লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের উপভোক্তাদের নাম এবং তথ্য ব্যবহার করে টাকা ঢুকে যাচ্ছে অন্য কারও অ্যাকাউন্টে। কারা এই দুর্নীতি চক্রের সঙ্গে জড়িত? কীভাবেই বা দুর্নীতি হচ্ছে, প্রশাসনের কেউ যুক্ত রয়েছে কিনা? উঠছে একাধিক প্রশ্ন। প্রশাসনের লোকজন এতে জড়িত বলে অভিযোগ করেছেন উপভোক্তারা।
স্থানীয় এক সিএসপির মালিক নিখাতে ইয়াসমিন জানান, তাঁদের সিএসপিতে অনেকেই টাকা লেনদেন করতে আসেন। এলাকার বহু মহিলা এই অভিযোগ করছেন। আগে লক্ষ্মীর ভাণ্ডরের স্ট্যাটাস চেক করা যেত না। এক মাস ধরে চেক করা যাচ্ছে। তারপরই এই তথ্য সামনে এসেছে। এ প্রসঙ্গে হরিশ্চন্দ্রপুর ২ নম্বর ব্লক প্রশাসনের তরফে অভিযোগ খতিয়ে দেখার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।