উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্কঃ বড় সাফল্য ভারতীয় সেনার। অনন্তনাগে সেনা-জঙ্গি গুলির লড়াইয়ে মৃত্যু হল পাক জঙ্গি সংগঠন লস্কর কমান্ডার উজির খানের। মঙ্গলবার জঙ্গির দেহ উদ্ধার হয়েছে অনন্তনাগ জেলার কোকেরনাগ জঙ্গলে। তার দেহের পাশ থেকে উদ্ধার হয়েছে একটি অত্যাধুনিক আগ্নেয়াস্ত্র। এখনও পর্যন্ত অনন্তনাগের ঘটনায় তিন জঙ্গির দেহ উদ্ধার হয়েছে বলে সেনা সূত্রে খবর।
রবিবার ভোরেই অনন্তনাগে থেমে গিয়েছে গুলির লড়াই। জম্মু-কাশ্মীরের এই অনন্তনাগে এখন শুধুই বিরাজ করছে নিস্তব্ধতা। মোট পাঁচদিন ধরে জঙ্গিদের সঙ্গে লড়াই চালিয়েছে ভারতীয় সেনা। মুহুর্মুহু মর্টার, রকেট লঞ্চার, গুলির লড়াইয়ে ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি হয়েছিল এই পাহাড়ি অঞ্চলে। জঙ্গি সেনার লড়াইয়ে প্রাণ গিয়েছে ভারতীয় সেনার দুই কর্তা সহ এক পুলিশ আধিকারিকের। রবিবারই জঙ্গি ঘাঁটির দখল নিয়েছে সেনা। চলছে জোর তল্লাশি। সোমবার কোকেরনাগ জঙ্গলে দুই জঙ্গির দ্বগ্ধ দেহ উদ্ধারের পর এবার মিলল আরও এক জঙ্গির দেহ।
জানা গিয়েছে, কোকেরনাগ জঙ্গলে তল্লাশি চালানোর সময় এক জঙ্গির দেহ নজরে আসে সেনার। প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে, মৃত জঙ্গির নাম উজির খান। সে লস্কর-ই-তোইবা জঙ্গি সংগঠনের কমান্ডার। জঙ্গির দেহের পাশ থেকে উদ্ধার হয়েছে আগ্নেয়াস্ত্র। ঘটনাস্থলে তল্লাশি চালিয়ে উদ্ধার হয়েছে বেশ কিছু তাজা শেল। সেগুলোকে উদ্ধার করে নিষ্কৃয় করা হয়েছে। জঙ্গির দেহ উদ্ধারের ঘটনা স্বীকার করে নিয়েছেন কাশ্মীর পুলিশের এডিজিপি বিজয় কুমার। কোকেরনাগ জঙ্গলে এখনও জোর তল্লাশি চালিয়ে যাচ্ছে সেনা। এখনও পর্যন্ত তিন জঙ্গির দেহ উদ্ধার হলেও বেশ কিছু জঙ্গি পালিয়ে গিয়েছে বলে অনুমান করা হচ্ছে। তল্লাশিতে ড্রোন ব্যবহার করা হচ্ছে বলেও খবর।
টানা ১০০ ঘন্টা পর রবিবার সকালেই থেমে গিয়েছে জম্মু ও কাশ্মীরের অনন্তনাগে জঙ্গিদের সঙ্গে ভারতীয় সেনার গুলির লড়াই। চারদিকে এখন যেন শ্মশানের নিস্তব্ধতা। ড্রোনের মাধ্যমে পাহাড়-জঙ্গলে তল্লাশি চালাচ্ছে সেনা। জঙ্গিদের খোঁজে তল্লাশিতে ব্যবহার করা হচ্ছে ড্রোন। ভারতীয় সেনাবাহিনী সূত্রে জানা গিয়েছে, অনন্তনাগের প্রত্যন্ত পাহাড়ি এলাকা কোকেরনাগ জঙ্গলে ঘাঁটি গেড়েছিল পাকিস্তানের জঙ্গি সংগঠন লস্কর-ই-তোইবার বেশ কয়েকজন জঙ্গি। ভারতীয় সেনার ওপর হামলার ছক কষেছে তারা। সেই মতোই সীমান্তে নিরাপত্তা বাড়ায় সেনা। জঙ্গিদের মোকাবিলা করতে গিয়ে বড় চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হয় ভারতীয় সেনাদের। কোকেরনাগ জঙ্গল ভারতীয় সেনা ঘিরে ফেললে জঙ্গিরা আশ্রয় নেয় উঁচু পাহাড়ের গুহায়।
প্রাথমিক ভাবে মনে করা হচ্ছে, পাহাড়ি এবং দুর্গম অঞ্চলে লড়াই করার জন্য এই জঙ্গিদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। অনেক দিন আগেই ওই পাহাড়ে ডেরা বানিয়েছিল বলে মনে করা হচ্ছে। কারণ যে গুহায় তারা আশ্রয় নিয়েছে, সেখানে দীর্ঘ দিন ধরে লড়াই চালানোর রসদও মজুত করা হয়েছে বলে সেনা মনে করছে। সেনাবাহিনীর ওপর হামলা চালানোর পরিকল্পনা নিয়েই জঙ্গি সংগঠনটি ঢুকে পড়ে ভারতের সীমানায়। সেখানে মর্টার এবং রকেট লঞ্চার দিয়ে এক নাগাড়ে হামলা চালিয়েছে সেনা। ১০০ ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে চলেছে সেই সংঘর্ষ। নামাতে হয়েছে প্যারা কমান্ডোও।
তুফানগঞ্জ: অল্পের জন্য উচ্চ মাধ্যমিকের মেধা তালিকায় স্থান পেল না তুফানগঞ্জ নৃপেন্দ্রনারায়ণ মেমোরিয়াল হাইস্কুলের যমজ…
শিলিগুড়ি: সেবক-রংপো রেল প্রকল্পে কাজ চলাকালীন ফের এক শ্রমিকের মৃত্যুর (Worker death) ঘটনা ঘটল। বৃহস্পতিবার…
হরিশ্চন্দ্রপুর: উচ্চমাধ্যমিকে (HS Result 2024) নজরকাড়া ফল হরিশ্চন্দ্রপুর থানা এলাকার প্রত্যন্ত গ্রামের মেয়ে রুকসার খাতুনের।…
চ্যাংরাবান্ধা: বাবা চান মেয়ে যেন মানুষের মতো মানুষ হয়। আর বাবার স্বপ্নপূরণের লক্ষ্যে এগিয়ে চলেছে…
মাটিগাড়া: যিনি রাঁধেন তিনি চুলও বাঁধেন। এই প্রবাদবাক্যকে সত্যি প্রমাণিত করে ছেড়েছেন মাটিগাড়া (Matigara) থানার…
শিবমন্দির: জীবিত সদ্যজাত কন্যাসন্তান উদ্ধারের ঘটনাকে কেন্দ্র করে বৃহস্পতিবার চাঞ্চল্য ছড়াল শিবমন্দিরের এক নম্বর সত্যেন…
This website uses cookies.