শিলিগুড়ি: পাহাড়ে ফের অশান্তির মেঘ! রাজ্য সরকার যদি জিটিএ নির্বাচনের আগে আলোচনায় না বসে, তাহলে অনশনে বসার হুমকি দিলেন বিমল গুরুং। গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার (জিজেএম) দার্জিলিং টাউন কমিটির তরফে শনিবার দার্জিলিংয়ে একটি সভার আয়োজন করা হয়। সংগঠনের পরবর্তী রাজনৈতিক পদক্ষেপ ঠিক করতেই এই সভার আয়োজিত হয় এদিন। উপস্থিত ছিলেন গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার সভাপতি বিমল গুরুং এবং সাধারণ সম্পাদক রোশন গিরি। বিমল গুরুং বলেন, ’এখনই জিটিএ নির্বাচন না করার জন্য আজ আমি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি দিয়েছি। জিটিএ নির্বাচনের আগে পাহাড় সমস্যার স্থায়ী সমাধানের জন্য আলোচনার আর্জি জানিয়েছি।’ জিটিএ নির্বাচনের আগে রাজ্য সরকার যদি আলোচনায় না বসে, তাহলে চৌরাস্তায় অনশনে বসার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বিমল গুরুং। এতে পাহাড়ে ফের অশান্তি ছড়াতে পারে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
গোর্খাল্যান্ড টেরিটোরিয়াল অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের (জিটিএ) ভোট এখন না করানোর দাবিতে এদিন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি দেন গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার সভাপতি বিমল গুরুং। শনিবার দুই পাতার একটি চিঠি মুখ্যমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে পাঠিয়েছেন তিনি। সেখানে লিখেছেন, মুখ্যমন্ত্রীর ওপর ভরসা রেখেই দীর্ঘদিনের সঙ্গী বিজেপির হাত ছেড়ে গত বিধানসভা ভোটের আগে রাজ্যের হাত ধরেছিল মোর্চা। ১১টি জনজাতিকে তপশিলি উপজাতির মর্যাদা দেওয়া সহ পাহাড় সমস্যার সমাধানের জন্য মুখ্যমন্ত্রীর ওপরেই ভরসা রেখেছে মোর্চা। কিন্তু এখনই জিটিএ ভোট করা ঠিক হবে না। পাহাড় সমস্যার স্থায়ী রাজনৈতিক সমাধান করার পরই এখানে ভোট করার দাবি জানিয়েছেন বিমল। তাঁর বক্তব্য, ভোট যদি করতেই হয়, তাহলে পাহাড়ে ২০০১ সাল থেকে বন্ধ থাকা পঞ্চায়েত ভোট করাক রাজ্য। কিন্তু জিটিএ ভোট করানোর পক্ষপাতি নয় মোর্চা।
রাজনৈতিক মহল মনে করছে, বিধানসভা ভোট থেকে শুরু করে দার্জিলিং পুরসভার নির্বাচন সবেতেই গোহারা হয়েছে বিমলের পার্টি। মোর্চার পায়ের তলার মাটি যে ধীরে ধীরে অনেকটাই আলগা হয়েছে তা একের পর এক ভোটের ফলাফলেই স্পষ্ট। এই পরিস্থিতিতে পাহাড়ে জিটিএ ভোট হলে মোর্চার ক্ষমতা দখলের সম্ভাবনা একেবারেই নেই বললেই চলে। সেইজন্যই যেনতেন প্রকারে মোর্চা ভোট স্থগিত করতে চাইছে।
আরও পড়ুনঃ গম রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা কেন্দ্রের, চিন্তায় ব্যবসায়ীরা