কালিয়াচক: বার্ড ফ্লুতে(Bird Flu) আক্রান্ত কালিয়াচকের জুনাইদ মোমিনের বাড়িতে এল রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তরের একটি প্রতিনিধি দল। সেখানে প্রায় ১৫-২০ মিনিট থেকে আক্রান্ত শিশুর মা-বাবার সঙ্গে কথা বলেন তাঁরা। তারপরেই সেখান থেকে বেরিয়ে যায় দলটি। তবে আক্রান্তের পরিবারের লোকের অভিযোগ, একবারের জন্যও বার্ড ফ্লুতে আক্রান্ত জুনাইদকে দেখার প্রয়োজন বোধ করেননি স্বাস্থ্য দপ্তরের আধিকারিকরা।
শুক্রবার প্রথমে সিলামপুর গ্রামীণ হাসপাতালে যান রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তরের প্রতিনিধি দলটি। প্রায় ঘণ্টাখানেক হাসপাতালের চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের সঙ্গে বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা করেন তাঁরা। তারপর কালিয়াচকের শেরশাহী মিস্ত্রিপাড়া গ্রামের চার বছরের শিশু জুনাইদ মোমিনের বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দেন। এদিন শেরশাহী মিস্ত্রিপাড়া গ্রাম থেকে বেরনোর সময় স্বাস্থ্য দপ্তরের প্রতিনিধিরা জানান, তাঁরা শুধু নজরদারি করতেই এসেছিলেন।
প্রসঙ্গত, বুধবার বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তরফে একটি রিপোর্ট প্রকাশ করা হয়। সেই রিপোর্টে পশ্চিমবঙ্গের দু’জন শিশু বার্ড ফ্লুতে আক্রান্ত বলে জানানো হয়। তাদের মধ্যে আড়াই বছরের এক শিশু অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্নের বাসিন্দা৷ সম্প্রতি তারা বিমানে কলকাতায় ফিরেছিল। অপরদিকে হু’র রিপোর্টে বলা হয়, চার বছর বয়সি বার্ড ফ্লুতে আক্রান্ত দ্বিতীয় শিশুটির বাড়ি কালিয়াচকের শেরশাহী মিস্ত্রিপাড়ায়। তারা দু’জনেই বিরল প্রজাতির ভাইরাসে আক্রান্ত৷
আক্রান্তের পরিবার জানিয়েছে, গত জানুয়ারিতে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়ে জুনাইদ মোমিন। তাকে ভর্তি করা হয় মালদা মেডিকেলে। একমাস সেখানে চিকিৎসা চলে। এরপর মার্চ মাসে তাকে কলকাতার নীলরতন সরকার মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে তার বেশ কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়। কিন্তু রক্ত পরীক্ষায় তেমন কিছু ধরা পড়েনি। এরপর তার রক্তের নমুনা পাঠানো হয় পুনের নাইসেডে৷ তখনই ধরা পড়ে, জুনাইদ এইচ ৯ এন ২ ভাইরাসে আক্রান্ত। চিকিৎসকদের মতে, এই ভাইরাস মূলত পাখি থেকে ছড়ায়। মানুষ থেকে মানুষে ছড়ায় না৷ নীলরতনে চিকিৎসার পর সুস্থ হয়ে ওঠে জুনাইদ। তবে একইসঙ্গে রাইনো ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ায় তার শ্বাসকষ্ট থেকে যায়। চিকিৎসকরা জানিয়ে দেন, বড় না হওয়া পর্যন্ত জুনাইদকে অক্সিজেন সাপোর্টে রাখতে হবে। বড় হলে তার অপারেশন করা হবে। তার ফুসফুস প্রতিস্থাপন করতে হবে।
যদিও জুনাইদের বার্ড ফ্লুতে আক্রান্ত হওয়ার খবর ছড়াতেই কালিয়াচকে যায় রাজ্যের বিশেষ প্রতিনিধি দল৷ জুনাইদের মা নুরজাহান বিবি জানান, ছেলের চিকিৎসা করানোর মতো পর্যাপ্ত অর্থ নেই। এমনকি ওকে ঠিকমতো অক্সিজেনও কিনে দিতে পারছেন না তাঁরা। ছেলের চিকিৎসায় পাশে দাঁড়ানোর জন্য সরকারের কাছে আর্জি জানিয়েছেন তাঁরা। রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তরের মুখ্য প্রতিনিধি দীপঙ্কর মাঝি জানান, এই ভাইরাস আর কারও মধ্যে পাওয়া যায়নি। এনিয়ে আতঙ্কের কোনও কারণ নেই।
উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্কঃ চার বছরের চুক্তিতে দাড়ি পড়ল মাত্র ১ বছরেই। গত বছরের মার্চে…
মানিকচক: আম কুড়াতে ব্যাগ হাতে বাগানের দিকে দৌড় মেরেছিল অমিত। তবে আম কুড়িয়ে আর বাড়ি…
উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্কঃ বাংলাদেশের জাতীয় দাবা প্রতিযোগিতায় খেলতে খেলতেই লুটিয়ে পড়েন গ্র্যান্ডমাস্টার জিয়াউর রহমান।…
মানিকচকঃ প্রায় তিন কিলোমিটার বাঁধহীন অবস্থায় ভূতনির বিস্তীর্ণ এলাকা। আতঙ্কে দিন কাটছে বাসিন্দাদের। প্রশাসনের উপর…
রাজগঞ্জঃ বিজেপি নেতার রিসর্ট ভাঙতে এসে ভেঙে দিয়ে গেল তৃণমূল নেতার খামারবাড়ি। এই ঘটনায় শুক্রবার…
উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্ক: তেলেভাজা ছাড়া কি আর বৃষ্টির দুপুর বা সন্ধ্যা জমে? চপ-কাটলেট-পিঁয়াজি-পকোড়া ভালোবাসেন…
This website uses cookies.