রায়গঞ্জ: ৬০ ভোটে জিতে শংসাপত্র নিতে কাউন্টিং সেন্টারে ঢুকতেই দেখলেন ১০ ভোটে হেরে গিয়েছেন তিনি। এমনই ঘটনায় কান্নায় ভেঙে পড়লেন রায়গঞ্জ ব্লকের-২ নম্বর জগদীশপুর অঞ্চলের তৃণমূল কংগ্রেসের প্রাক্তন প্রধান সুশীল দাস। তাঁর অভিযোগ, প্রথমে ৬০ ভোটে জিতলেও পরে তাকে ১০ ভোটে হারিয়ে দেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার গভীর রাতে রায়গঞ্জ পলিটেকনিক কলেজের গণনাকেন্দ্রের বাইরে এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়ায়।
জানা গিয়েছে, সুশীলবাবু ২০১৩ থেকে ২০১৮ পর্যন্ত প্রধান পদে ছিলেন। ২০১৮ সালে তৃণমূল কংগ্রেস টিকিট না দেওয়ায় বিজেপিতে যোগ দেন। এবছর জগদীশপুর অঞ্চলের ৪০ নম্বর বুথে বিজেপির গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রার্থী ছিলেন। তাঁর দাবি, তিনি প্রথমে ৬০ ভোটে জয়ী হয়েছিলেন। জয়ের সার্টিফিকেট আনতে বাইরে থেকে ভেতরে যেতেই শোনেন তিনি ১০ ভোটে হেরে গিয়েছেন। এদিন সুশীলবাবু হারার কথা বলতে গিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন। তিনি বলেন, ‘বাম আমলে এমন জিনিস কখনও দেখিনি। আমি ৬০ ভোটে জিতে যাওয়ার পর রি কাউন্টিং করে ১০ ভোটে হারিয়ে দেওয়া হল। ব্লক তৃণমূল সভাপতি দীপঙ্কর বর্মন কাউন্টিং হলে থেকে এই কাজ করেছে। যদিও দীপঙ্করবাবু তার অভিযোগ মানতে নারাজ।
এদিন এই ঘটনার পর গণনা কেন্দ্রের বাইরে সাংসদ দেবশ্রী চৌধুরী তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, ‘জেলাজুড়ে এই ঘটনা ঘটছে। যারা আমাদের দলে জিতেছেন তাদের জয়ী সার্টিফিকেট দেওয়া হচ্ছে না। বারবার রি কাউন্টিং করে হারিয়ে দেওয়া হচ্ছে। আমরা আদালতে যাবো।‘