আসানসোল: ত্রিপুরা পুরসভার ভোটের মত এবার আসানসোল পুরনিগমের নির্বাচনেও বিজেপির প্রচারের ঢাল দলের প্রাক্তন সাংসদ বাবুল সুপ্রিয়র গাওয়া গান। আসানসোল পুর ভোটের প্রচারে রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসকে বিব্রত করতেই প্রচার গাড়িতে বাজানো হচ্ছে বাবুলের গাওয়া ‘এই তৃণমূল আর না’ গানটি। স্বাভাবিকভাবেই পুরভোটের প্রচারে এবার নতুন করে শাসক ও বিরোধী দলের মধ্যে রাজনৈতিক চাপান উতোর শুরু হয়েছে।
আসানসোলের প্রাক্তন বিজেপি সাংসদ বাবুল সুপ্রিয় বর্তমানে তৃণমূল কংগ্রেসে। অথচ তাঁর গাওয়া এই জনপ্রিয় গানটি এখন বাজছে আসানসোলের ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে। বাঁকুড়ার শালতোড়ার বিজেপি বিধায়ক চন্দনা বাউরি রবিবার আসানসোলের ১০৩ নম্বর ওয়ার্ডে দলীয় প্রার্থীর হয়ে যে টোটোতে চেপে প্রচার করেন সেই টোটোতেই মাইক লাগিয়ে বাজানো হয় বাবুলের গাওায় গান ‘দিদির পায়ে হাওয়ায় চটি ভাইয়েরা সব কোটিপতি’।
২০১৯ সালের লোকসভা ভোটে বাবুল সুপ্রিয় দ্বিতীয়বারের জন্য বিজেপির প্রার্থী ছিলেন আসানসোল কেন্দ্রে। সেসময় এই গানটি নিজেই মিউজিক কম্পোজ করেছিলেন ও গেয়েছিলেন। মুহূর্তের মধ্যেই ভাইরাল হয়ে যায় গানটি। বাবুলের গাওয়া এই গানে মেতে উঠে সারা বাংলা। বিজেপির প্রচারে এই গান ব্যাপক সাড়া ফেলেছিল। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে সেই গানে তীর্যক ভাষায় আক্রমণ করা হয়েছিল। বর্তমানে বিজেপি ছেড়ে বাবুল সুপ্রিয় তৃণমূল কংগ্রেসে। কিন্তু বাবুলের গাওয়া গানটি ছাড়েননি বিজেপি নেতা-কর্মীরা। এবিষয়ে বিজেপি বিধায়ক চন্দনা বাউরির মত, বাবুল সুপ্রিয়র ওই গান বাজানোয় কোনও দোষ নেই।
বিজেপির রাজ্য কমিটির সদস্য তথা আসানসোল উত্তর বিধানসভা কেন্দ্রের পরাজিত প্রার্থী কৃষ্ণেন্দু মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘বাবুল সুপ্রিয় তৃণমূল কংগ্রেসে চলে গেলেও গানের বিষয়বস্তু ও সমস্যা একই রয়েছে। ত্রিপুরার মতই আমরা তাঁর গাওয়া সেই গানটি এবার বাজানো শুরু হয়েছে আসানসোল পুর ভোটের প্রচারে।’ তাঁর কথায়, বাবুল সুপ্রিয় একজন গায়ক হিসাবে গানটি গেয়েছিলেন। এখন তা বাজালে দোষের কি?
অন্য়দিকে, তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সম্পাদক তথা আসানসোল পুরনিগমের দলের আহ্বায়ক ভি শিবদাসন তরফে দাসু বলেন, ‘একজন শিল্পী হিসাবে বাবুল সুপ্রিয় ওই গান গেয়েছিলেন। আগামীদিনে তিনি তৃণমূল কংগ্রেসের হয়ে গান গাইবেন। তখন আমরা সেই গান বাজাব। গান দিয়ে ভোট হয় না। ভোট হয় উন্নয়ন আর কাজের নিরিখে।