সানি সরকার, শিলিগুড়ি: আলিপুরদুয়ার (Alipurduar) লোকসভা কেন্দ্রে ফের জয়লাভ করেছে বিজেপি (BJP)। তবে চা বলয় অধ্যুষিত ওই লোকসভা কেন্দ্রে পাঁচ বছরের ব্যবধানে পদ্মের ভোটে ধস নেমেছে এবার। এর মূলে যে জন বারলার ‘হাতযশ’, তা বুঝতে পেরেছে পদ্ম শিবির। তাই দলের ভারতীয় চা শ্রমিক ইউনিয়নের চেয়ারম্যান পদ থেকে প্রাক্তন সাংসদকে সরিয়ে ওই পদে বর্তমান সাংসদ মনোজ টিগ্গাকে (Manoj Tigga) আনা হয়েছে। আদিবাসী ভোটব্যাংকে যে ফাটল ধরেছে, তা মেরামত করতেই এই সিদ্ধান্ত।
দলীয় সূত্রে খবর, যেহেতু মনোজ চা শ্রমিক পরিবার থেকে উঠে এসেছেন, তাই তাঁকেই বেছে নেওয়া হয়েছে। এর পাশাপাশি বারলার পৃথক সংগঠন গড়া এবং দলের প্রতি তাঁর অবস্থান স্পষ্ট না হওয়ার বিষয়টিও মনোজের শ্রমিক সংগঠনের পদ প্রাপ্তির অন্যতম কারণ বলে ওয়াকিবহাল মহলের ধারণা।
সম্প্রতি নর্থবেঙ্গল টি ওয়ার্কার্স ইউনিয়ন গঠন করেছেন বারলা। ফলে তাঁর ‘অপসারণে’ নতুনত্ব দেখছেন না দলের অনেকেই। বিজেপির এক নেতার দাবি, ‘তাঁকে (বারলা) সরানো হবে বুঝতে পেরেই তিনি নতুন সংগঠন গড়েছেন।’ এদিকে মনোজ বলছেন, ‘নতুন দায়িত্ব পেলেও চা বাগানের সঙ্গে আমার যোগ দীর্ঘদিনের। এখন দলকে আরও শক্তিশালী করাই হবে মূল লক্ষ্য।’
রবিবার দলের শিলিগুড়ি সাংগঠনিক জেলা কার্যালয়ে নতুন কমিটির কথা ঘোষণা করা হয়েছে। তাতে নতুনত্ব রয়েছে। এই প্রথমবার সংগঠনটিতে নিয়ে আসা হয়েছে বিধায়কদের। সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক হয়েছেন শিলিগুড়ির বিধায়ক ও বিধানসভায় দলের মুখ্যসচেতক শংকর ঘোষ। সহ সভাপতি করা হয়েছে দুই বিধায়ক বিশাল লামা ও মনোজ ওরাওঁকে।
এদিন উপস্থিত ছিলেন ফাঁসিদেওয়ার বিধায়ক দুর্গা মুর্মু। ছিলেন মাটিগাড়া-নকশালবাড়ির বিধায়ক আনন্দময় বর্মন। ওই দুটি বিধানসভা কেন্দ্রেও রয়েছে চা বাগান। তাঁদেরও সংগঠনে গুরুত্বপূর্ণ জায়গা দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন সংগঠনের সভাপতি যুগলকিশোর ঝা। মূলত ’২৬-এর বিধানসভা ভোটের দিকে তাকিয়ে বিধায়কদের সংগঠনে নিয়ে আসা হচ্ছে বলে বিজেপি সূত্রে খবর।