প্রতীকী ছবি
রণজিৎ ঘোষ, শিলিগুড়ি: কালাজ্বর (Black Fever) শনাক্তকরণে এবার কলকাতা সহ রাজ্যের সাতটি জেলায় বিশেষ পরীক্ষাগার তৈরি হচ্ছে। এর মধ্যে উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজ (North Bengal Medical College) এবং মালদা মেডিকেল কলেজ (Malda Medical College) রয়েছে। স্বাস্থ্য দপ্তর সূত্রে খবর, কালাজ্বরপ্রবণ জেলাগুলিতেই এই কিউপিসিআর পরীক্ষা ব্যবস্থা চালু হবে। এজন্য রাজ্যের সাতটি ভাইরাস রিসার্চ অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক ল্যাবরেটরিকে (VRDL) চিহ্নিত করে সেখানকার মাইক্রোবায়োলজিস্ট, ভাইরোলজিস্টদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। স্বাস্থ্যকর্তারা মনে করছেন, এই পরীক্ষা ব্যবস্থা চালু হলে আরও ভালোভাবে কালাজ্বরের শনাক্তকরণ করা সম্ভব হবে। ফলে আরও দ্রুত চিকিত্সা এবং রোগীর সুস্থতাও নিশ্চিত করা যাবে।
রাজ্যের যে জেলাগুলিতে কালাজ্বরের প্রকোপ রয়েছে তার মধ্যে দার্জিলিং অন্যতম। এই জেলায় বিশেষ করে সমতলের ফাঁসিদেওয়া, নকশালবাড়ি এবং খড়িবাড়িতে একসময় প্রচুর মানুষ কালাজ্বরে আক্রান্ত হতেন। এই অসুখে আক্রান্ত হয়ে অনেকের মৃত্যুও হয়েছে। গত কয়েক বছরে কালাজ্বরের জীবাণুবাহক স্যান্ডফ্লাই দমনে বেশ কিছু পদক্ষেপের জেরে আক্রান্তের সংখ্যা অনেকটাই কমেছে। তবে, এখনও শিলিগুড়ির গ্রামীণ এলাকা থেকে এই মারণজ্বর পুরোপুরি নির্মূল হয়নি। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, কালাজ্বরের উপসর্গ নিয়ে রোগীরা হাসপাতালে এলে চিকিৎসকরা রক্ত পরীক্ষা করান। আরকে-৩৯ র্যাপিড ডায়াগনস্টিক টেস্ট করা হয়। এই পরীক্ষায় রোগীর শরীরে কালাজ্বরের অ্যান্টিবডি রয়েছে কি না সেটা দেখা হয়। শরীরে অ্যান্টিবডি থাকার অর্থ সেই রোগী কালাজ্বরে আক্রান্ত। কিন্তু চিকিৎসার পরে রোগী সুস্থ হয়ে উঠলেও কালাজ্বরমুক্ত কি না সেই পরীক্ষার জন্য কোনও ব্যবস্থা নেই। কেন না কালাজ্বর থেকে সেরে ওঠার পরেও শরীরে অ্যান্টিবডি থেকে যায়। কিছু ক্ষেত্রে রোগীর শরীরের অংশ নিয়ে বায়োপসি করে দেখেন চিকিৎসকরা। সেখানেও পজিটিভ, নেগেটিভ কোনও রিপোর্ট আসে না। সেখানে ‘ডার্মাল লেসম্যানিয়াসিস’ প্যারামিটার থাকে। সেটা দেখে চিকিত্সকরা রোগীর শারীরিক অবস্থা অনুমান করতে পারেন। অর্থাৎ রোগী কালাজ্বরমুক্ত কি না এটা চিকিৎসকের দক্ষতার উপর নির্ভর করে থাকে।
কালাজ্বর শনাক্তকরণে এবার রাজ্যে আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার শুরু হচ্ছে। স্বাস্থ্য ভবন সূত্রে খবর, কালাজ্বর শনাক্তকরণের জন্য কোয়ান্টিটেটিভ পলিমারাস চেন রিয়্যাকশন (কিউপিসিআর) টেস্ট চালু হচ্ছে। এই পরীক্ষায় রোগীর শরীরে কালাজ্বরের সংক্রমণ ধরা পড়বে আবার রোগী রোগমুক্ত হওয়ার পরেও এই টেস্টই নেগেটিভ রিপোর্ট দেবে। কল্যাণীর এইমস, কলকাতার এসএসকেএম, বর্ধমান মেডিকেল কলেজ, মুর্শিদাবাদ মেডিকেল কলেজ, স্কুল অফ ট্রপিক্যাল মেডিসিন (এসটিএম), উত্তরবঙ্গ মেডিকেল এবং মালদা মেডিকেলের ভিআরডিএলে এই পরীক্ষার ব্যবস্থা চালু হচ্ছে। এই জন্য প্রয়োজনীয় ইনস্ট্রুমেন্ট, টেস্ট কিট প্রত্যেকটি ভিআরডিএল-কে দেওয়া হয়েছে। স্থানীয় স্তরে কিছু প্রয়োজন হলে তা কেনার জন্য দেড় লক্ষ টাকার তহবিলও দেওয়া হয়েছে। ১৮ জুন থেকে এই সাতটি পরীক্ষাকেন্দ্রের মাইক্রোবায়োলজিস্ট, ভাইরোলজিস্ট সহ অন্যদের স্বাস্থ্য ভবনে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্ক: টি২০ বিশ্বকাপে আফগান রূপকথা। রুদ্ধশ্বাস ম্যাচে বাংলাদেশকে ডাকওয়ার্থ লুইস মেথডে ৮…
শিলিগুড়ি: নাবালিকাকে ধর্ষণের অভিযোগ ঘিরে উত্তেজনা ছড়াল শিলিগুড়ির ইস্টার্ন বাইপাস সংলগ্ন এলাকায়। অভিযোগ, ১৪ বছরের…
উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্ক: ফুটো হয়ে গিয়েছে অযোধ্যায় রাম মন্দিরের (Ram Mandir) ছাদ। আর সেই…
উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্ক: নয়নতারার পর ফের দক্ষিণী অভিনেত্রীর সঙ্গে জুটি বাঁধতে চলেছেন শাহরুখ খান(Shah…
উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্ক: দিল্লির জলসংকট সমাধানের দাবি জানিয়ে শুক্রবার থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য অনশনে বসেছেন…
কোচবিহার: ফের দুটি গ্রাম পঞ্চায়েত দখলের পথে তৃণমূল। সোমবার মেখলিগঞ্জ ব্লকের বাগডোকরা- ফুলকাডাবরি ও কুচলিবাড়ি…
This website uses cookies.