শুভদীপ শর্মা, ক্রান্তি: হাতির করিডরে ব্লেডতার! বৈকুণ্ঠপুর বন বিভাগের (Baikunthapur Forest) আপালচাঁদ রেঞ্জের (Apalchand Range) ফুলঝোরা বিটের একেবারে লাগোয়া হাতির (Elephant) করিডর বলে পরিচিত বেশ কয়েকটি চা বাগানের সীমানায় এই ব্লেডতার ঘিরে উঠছে প্রশ্ন। এই ব্লেডতারে (Blade Fencing Wire) যে কোনও সময় হাতি কিংবা অন্য প্রাণী জখম হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। সব জেনেও নির্বিকার বন দপ্তর। এমনই অভিযোগ। যদিও উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে দাবি করেছেন বন আধিকারিক।
বৈকুণ্ঠপুর বন বিভাগের ফুলঝোরা বিটের আশপাশে বেশ কয়েকটি চা বাগান রয়েছে। এই এলাকায় সবসময়ই হাতির আনাগোনা হয়। কখনও দল বেঁধে, আবার কখনও একাকী এলাকা দাপিয়ে বেড়ায় হাতি। আর এই এলাকায় বেশ কয়েকটি চা বাগান কর্তৃপক্ষ তাদের সীমানা ঘিরে রেখেছে ব্লেডতারের বেড়া দিয়ে। যা থেকে হাতি জখম হওয়ার আশঙ্কা করছেন পরিবেশপ্রেমীরা।
জঙ্গল লাগোয়া বিভিন্ন চা বাগানে এই ব্লেডতারের বেড়া দেওয়ায় শুধু হাতি নয়, ছোট-বড় বিভিন্ন বন্যপ্রাণীর পাশাপাশি গবাদিপশুও জখম হতে পারে যখন-তখন। পাশাপাশি এর জেরে হাতি-মানুষ সংঘাত হতে পারে বলে আশঙ্কা পরিবেশপ্রেমীদের। লাটাগুড়ি গ্রিন লেভেল ওয়েলফেয়ার সোসাইটির সম্পাদক অনির্বাণ মজুমদার বলেন, ‘জঙ্গল লাগোয়া চা বাগানগুলিতে এই ধরনের ব্লেডতার কখনোই লাগানো উচিত নয়। শুধু হাতি নয়, এতে অন্যান্য বন্যপ্রাণী জখম হতে পারে।’ অবিলম্বে এই সমস্ত ব্লেডতার খুলে ফেলার আবেদন জানান তিনি। ময়নাগুড়ি রোড পরিবেশপ্রেমী সংগঠনের সম্পাদক নন্দু রায়ের কথায়, ‘এই ব্লেডতারে হাতি জখম হলে তারা ক্ষিপ্ত হয়ে মানুষকে আক্রমণ করে বসতে পারে। বন দপ্তর ব্যবস্থা নিক।’
বৈকুণ্ঠপুর বন বিভাগের এডিএফও মঞ্জুলা তিরকির বক্তব্য, তাঁর বিষয়টি জানা ছিল না। তিনি খোঁজ নিয়ে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেবেন বলে জানান।