উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্কঃ সকালে গ্রামের একটি ৫ বছরের মেয়েকে অপহরণ করা হল তাঁর বাড়ি থেকে। আর সেদিন বিকেলে গ্রামেরই এক মন্দিরের পাশ থেকে গলা কাটা অবস্থায় উদ্ধার হল তাঁর দেহ। মন্দিরের সিড়িতে পাওয়া গেল রক্তের দাগ। অনুমান করা হচ্ছে, ‘নরবলি’ দেওয়া হয়েছে ওই শিশুর। এমনই ভয়ঙ্কর ঘটনার অভিযোগ উঠেছে গুজরাতের ছোটাউডেপুর জেলার পানেজ গ্রামে। ওই গ্রামেরই বাসিন্দা অভিযুক্ত লালা তাড়ভিকে শিশু হত্যার অভিযোগে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
জানা গিয়েছে, এদিন বিকেলে মন্দিরের সিড়িতে রক্তের দাগ দেখতে পেয়ে চমকে ওঠেন গ্রামবাসীরা। এরপরেই মন্দিরের কিছুটা দূর থেকে উদ্ধার হয় ওই শিশুটির দেহ। আর সেই সময় অভিযুক্তকেও মন্দিরের কাছেই রক্তমাখা অস্ত্র হাতে দেখা যায়। সঙ্গে সঙ্গে পুলিশে খবর দেন গ্রামবাসীরা। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করে।
পুলিশের প্রাথমিক অনুমান এটি একটি ‘নরবলি’-র ঘটনা। এই প্রসঙ্গে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার গৌরব আগরওয়াল জানিয়েছেন, শিশুটির গলায় কুড়ুল দিয়ে আঘাত করা হয়। এরপর তাঁর রক্ত নিয়ে গিয়ে উৎসর্গ করা হয় মন্দিরে। তবে এই খুনের পেছনে অন্য কোনও কারণ রয়েছে কিনা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।